পেটপুজো হোক নিরামিষে।—ছবি: ফাইল চিত্র।
মেঘ-বৃষ্টির লুকোচুরির মধ্যেই কাশফুলে ভরে গেছে বাদা বন। আকাশে বাতাসে পুজো পুজো সুরভি। বাঙালির সেরা উৎসব সবার মনেই এনেছে আনন্দের জোয়ার।
হিন্দি বলয়ে অনেকেই প্রতিপদ থেকে নবমী পর্যন্ত শুধু নিরামিষ খান। আর আমাদের বাংলায় দেবীর আরাধনার সঙ্গে থাকে এলাহী খাওয়াদাওয়া।
পটল খেয়ে খেয়ে বোর হয়ে গেছেন? চিংড়ি আর কিমার যুগলবন্দিতে এই পটলের স্বাদ অভিনব, না খেলে পস্তাতে হবে।
আরও পড়ুন: ফ্রিজে এ সবও রাখেন না কি? তা হলে আজ থেকেই মত বদলান
পটল কিমা চিংড়ির দোলমা
উপকরণ
পটল: ১ কেজি
চিকেন কিমা: ১৫০ গ্রাম
চিংড়ি:(খোসা ছাড়িয়ে পরিষ্কার করা): ২০০ গ্রাম
চন্দ্রমুখি আলু: ১ টা(সেদ্ধ করে চটকে রাখা)
পিঁয়াজ বাটা: ৩ বড় চামচ
রসুন বাটা: ২ চামচ
আদা বাটা: ৩ চামচ
নারকেল কোরা: ২ চামচ
কাঁচা লঙ্কা ও ক্যাপসিকাম কুঁচি: ২ চামচ করে
পিঁয়াজ কুঁচি: ৪ চামচ
জিরে গুঁড়ো:১ চামচ
গরম মশলা গুঁড়ো: ১ চামচ,
সাদা তেল: চার চামচ,
নুন , চিনি: স্বাদ অনুযায়ী
ঘি: ১ চামচ
গোটা গরম মশলা: অল্প
শুকনো লঙ্কা গুঁড়ো – ১ চামচ
হলুদ গুঁড়ো – ১ চামচ
ফেটানো দই- ২ চামচ
ধনে পাতা
প্রণালী
বড় ও টাটকা পটলের গা চেঁচে নিয়ে ভিতর থেকে দানা বার করে সামান্য তেলে অল্প করে ভেজে রাখুন, যাতে সবুজ রং নষ্ট না হয়। এবার কড়াইতে তেল দিয়ে চিকেন কিমা, আলু দিয়ে নেড়েচেড়ে রসুন ও আদা বাটা দিয়ে কষে নিন। এবার লঙ্কাগুড়ো, কাঁচা লঙ্কা কুঁচি ও জিরেগুঁড়ো দিন। এরপর এর মধ্যে চিংড়ি ও ক্যাপসিকাম কুঁচি দিয়ে নেড়েচেড়ে নুন-মিষ্টি দিন। এর মধ্যে নারকেল কোরা, ঘি ও গরম মশলা দিয়ে পুর রেডি করে নিন।
এবার পটলের মধ্যে পুর ভরে রাখুন। প্যানে তেল দিয়ে গোটা গরম মশলা ফোড়ন দিয়ে পিঁয়াজ কুঁচি হালকা বাদামি করে ভেজে নিয়ে বাকি আদা ও রসুন বাটা এবং লঙ্কা গুঁড়ো, হলুদ গুঁড়ো দিয়ে ভাল করে কষুন। নুন চিনি দিয়ে তেল ছাড়া পর্যন্ত কষে নিয়ে এক কাপ গরম জল ঢেলে দিন। ফুটে উঠলে পটল গুলো ধীরে ধীরে ছেড়ে দিন। এপিঠ ও পিঠ করে সেদ্ধ হয়ে এলে ঘি ও গরম মশলা দিয়ে নামিয়ে নিন। ফেটানো দই ছড়িয়েও পরিবেশন করতে পারেন। তা না দিলেও অসুবিধা নেই।
আরও পড়ুন: এ সব কাপে চা খান? ডেকে আনছেন মারাত্মক বিপদ!
স্টাফড আলুর দম
আলু খেলে কিন্তু মোটেও ঘিলু ভেস্তিয়ে যায় না। আর গেলেই বা কে তাঁর তোয়াক্কা করে? আলু ছাড়া বাঙালির হেঁশেল প্রায় অচল। উৎসবমুখর দিনে আলুর নিরামিষ এক অভিনব পদ বানিয়ে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিতে পারেন অনায়াসে।
উপকরণ
চন্দ্রমুখী আলু: ১ কেজি, (এক সাইজের হলে ভাল হয়)
ছানা: ৫০০ গ্রাম
নারকেল কুঁচি: ২ চামচ
নারকেল কোরা: ২ চামচ
কাঁচা লঙ্কা কুঁচি: ২/৩ চামচ
সর্ষে, পোস্ত: ২ চামচ করে
নুন, চিনি: স্বাদ অনুযায়ী
সাদা তেল: ৩ চামচ
শা মরিচ: ১ চামচ
বাদাম ভাজা (ক্রাশ করা): ২ চামচ
কিসমিস: অল্প
ঘি ও গরম মশলা – অল্প,
গ্রেভির জন্যে
সরষের তেল: ২ চামচ,
জিরে, শুকনো লঙ্কা ও তেজপাতা: ফোড়নের জন্যে,
কোরানো চিজ: ৫০ গ্রাম,
সর্ষে বাটা: ১ চামচ,
নারকেল ও পোস্ত বাটা – ২ চামচ করে,
লঙ্কা গুঁড়ো, হলুদ গুঁড়ো: দরকার মত,
নুন চিনি: স্বাদ অনুযায়ী,
ঘি, গরম মশলা গুঁড়ো ও ক্রিম: সাজানোর জন্য।
প্রণালী
আলুর খোসা ছাড়িয়ে অল্প গর্ত করে স্কুপ করে নিন। এবারে গোটা আলু ভেজে তুলে রাখুন। আলুর শাঁসও নুন দিয়ে ভেজে রাখতে হবে। এবারে স্টাফিং এর জন্যে কড়াইতে তেল দিয়ে ছানা, কোরানো আলুভাজা-সহ যাবতীয় উপকরণ দিয়ে ভালকরে নেড়ে নিন। এবারে নারকেল, সরষে ও পোস্ত বেটে এর মধ্যে মিশিয়ে নাড়াচাড়া করুন। বাদাম ভাজা, লঙ্কা গুঁড়ো দিয়ে নুন, চিনি মেশান । ভাজা ভাজা হয়ে গেলে ঘি গরম মশলা ও কিশমিশ দিন। ঠান্ডা হলে এই পুর আলুর মধ্যে ভরে নিন। এবারে কড়াইতে সর্ষে তেল দিয়ে জিরে, শুকনো লঙ্কা ও তেজ পাতা ফোড়ন দিন। সর্ষে, পোস্ত ও নারকেল বাটা দিয়ে কষে নিয়ে চিজ দিন। এবারে লঙ্কা ও হলুদ গুঁড়ো দিয়ে গরম জল ঢেলে দিন। ফুটে উঠলে পুর ভরা আলু দিয়ে চাপা দিন। সাবধানে উল্টে পাল্টে সিদ্ধ হলে ঘি, গরম মশলা ও ক্রিম ছড়িয়ে পরোটা, লুচি বা পোলাও এর সঙ্গে গরমাগরম পরিবেশন করুন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy