আপনার শিশুর কি নতুন কিছু শিখতে একটু সময় লাগে? নতুন জিনিস বুঝতে একটু অসুবিধা হয়? তাহলে ওকে ঘোড়়ায় চড়া শেখান। ফ্রন্টিয়ারস ইন পাবলিক হেলথ-এ প্রকাশিত একটি গবেষণার ফল বলছে, ঘোড়ার ক্ষুরের কম্পন শিশুদের সিমপ্যাথেটিক নার্ভাস সিস্টেম সক্রিয় করে। যা তাদের শেখার ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
এই বিষয়ে টোকিও ইউনিভার্সিটি অব এগ্রিকালচারের অধ্যাপক মিতসুয়াকি ওহতা জানান, এর আগে শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের উপর হর্স রাইডিং-এর প্রভাব গবেষণায় উঠে এসেছে। কিন্তু শিশুদের উপর হর্স রাইডিং-এর প্রভাব নিয়ে বিশেষ গবেষণা হয়নি। ওহতা ও তাঁর দল শিশুদের উপর হর্স রাইডিং-এর প্রভাব দেখতে কয়েকটি সহজ পরীক্ষা করেন। ঘোড়ার ক্ষুরের আওয়াজের সঙ্গে শিশুদের হৃদস্পন্দনের পরিবর্তনও লক্ষ্য করেন তাঁরা।
গো/নো-গো পরীক্ষার মাধ্যমে কিছু ফাস্ট কম্পিউটারাইজ প্রশ্ন দিয়ে শিশুদের কগনিটিভ রেসপন্স পরীক্ষা করেন গবেষকরা। কোনও কঠিন পরিস্থিতিতে শিশুরা কী ভাবে সিদ্ধান্তে নিচ্ছে বা নিজের উপর নিয়ন্ত্রণ রাখছে তা পরীক্ষা করা হয়। গণিতের কয়েকটি প্রশ্নও তাদের সমাধান করতে দেওয়া হয়। গবেষণার পর ওহতা বলেন, গো/নো-গো পরীক্ষা অঙ্কের থেকে বেশি কঠিন ছিল। যার জন্য সিমপ্যাথেটিক নার্ভাস সিস্টেম বেশি সক্রিয় হওয়া প্রয়োজন। কিন্তু পাটিগণিতের ক্ষেত্রে তা ছিল না। পরীক্ষার ফল থেকে দেখা গিয়েছে হর্স রাইডিং-এর প্রভাবে শিশুদের কগনিটিভ স্কিল বাড়ে। যার ফলে নতুন কিছু শেখা, সমস্যা সমাধান করার ক্ষমতা ও স্মৃতিশক্তি উন্নত হয়।
ঘোড়ার ক্ষুররের শব্দের তালে কী রয়েছে? ওহতা বলেন, ঘোড়ার ক্ষুরের শব্দের বৈশিষ্ট্য হল তা থ্রি ডায়মেনশনাল অ্যাক্সিলারেশন উত্পন্ন করে। ঘোড়ার শ্রোণীচক্র সচল থাকলে তা মানব শরীরে মোটর ও সেন্সর ইনপুট পাঠাতে সাহায্য করে। যা সিমপ্যাথেটিক নার্ভাস সিস্টেম সক্রিয় করে তোলে।
আরও পড়ুন: অঙ্কে ভীতি, ভূগোলে গোল? এ সব আসলে জিনেরই কেরামতি
তবে সব ধরনের ঘোড়ার ব্রিডের ক্ষেত্রে এই গবেষণার ফল কার্যকর কিনা তা এখনও জানা যায়নি। সেই সঙ্গেই সব শিশুর পক্ষে ঘোড়ায় চড়া শেখাও সম্ভব নয়। কিন্তু শিশুদের উন্নতিতে হিউম্যান-অ্যানিমাল ইন্টার্যাকশন বড় ভূমিকা নেয় বলে জানান ওহতা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy