সরকারি নথি, স্ট্যাম্প জাল করে জেলা পরিষদে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে লক্ষাধিক টাকা প্রতারণার অভিযোগে এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে গ্রেফতার করল ঝাড়গ্রাম জেলার জামবনি থানার পুলিশ। ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ারকে ঝাড়গ্রাম আদালতে হাজির করানো হলে, বিচারক চার দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন।
ধৃত ব্যক্তির নাম দীপেন্দু পাল। বাড়ি ঝাড়গ্রামের জামবনি থানার মুড়াকাটি গ্রামে। জামবনি থানাতে সিভিক ভলান্টিয়ার ছিলেন তিনি। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, জামবনি ব্লকের ৯ নম্বর অঞ্চলের পথশ্রী প্রকল্পের রাস্তার কাজ দেখাশোনার জন্য মুড়াকাটি গ্রামে বাড়ি ভাড়া নিয়েছিলেন পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরা থানার লোয়াদা এলাকার এক বাসিন্দা। গত মার্চ মাস থেকে ভাড়া নিয়ে থাকতে শুরু করেন তিনি। বাড়ির মালিকের ছেলে দীপেন্দুর সঙ্গে পরিচয় হয় তাঁর। অভিযোগ, দীপেন্দু ওই ভাড়াটিয়ার স্ত্রীকে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পরিষদে গ্রুপ ডি পদে চাকুরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে ১ লক্ষ ৪৫ হাজার টাকা চান। তাঁর কথায় আশ্বস্ত হয়ে গত ১৪ মার্চ দীপেন্দুকে টাকা দেন ওই ব্যক্তি। এর পর পাবলিক সার্ভিস কমিশনের মেল আইডি থেকে ওই বধূর ইমেল আইডিতে গত ২০ মার্চ ইন্টারভিউর জন্য মেল পাঠানো হয়। পরে দীপেন্দু সরকারি লোগো ও স্ট্যাম্প দেওয়া প্যাডে নিয়োগপত্র দেখান। অভিযোগ, ওই ভুয়ো নিয়োগপত্র দেখানোর পর ওই দম্পতির কাছে ফের টাকার দাবি করেন দীপেন্দু। তাঁর দাবি মতো ২৭ মার্চ অন্য এক মহিলার অ্যাকাউন্টে ১৩ হাজার টাকা দিতে বাধ্য হয় তাঁরা। জানা গিয়েছে, ওই দম্পতি দু’ধাপে ১ লক্ষ ৫৮ হাজার টাকা দেন ওই সিভিককে।
কিছু দিন পর ওই কাগজপত্র নিয়ে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পরিষদে গেলে বুঝতে পারেন, প্রতারণার শিকার হয়েছেন তাঁরা। পরে শনিবার সকালে জামবনি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ভাড়াটিয়া দম্পতি। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে রাতেই সিভিক ভলান্টিয়ার দীপেন্দুকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বিচারকের নির্দেশ মতো পুলিশ ধৃত ব্যক্তিকে নিজেদের হেফাজতে রাখে। এই ঘটনার সঙ্গে আর কত জন জড়িত রয়েছে, তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।