এঁচোড়ের তরকারি হোক বা মাছের কালিয়া— রান্নার শেষ পর্যায়ে একটু গরমমশলা গুঁড়ো দিলে স্বাদ এবং গন্ধ, দুই-ই বেড়ে যায় কয়েক গুণ। তবে তারও মাত্রা আছে। যে মশলা রান্নার গুণ বৃদ্ধি করতে পারে, মাত্রাতিরিক্ত হলে সেটাই খাবারের স্বাদ নষ্ট করার জন্য যথেষ্ট। তবে রান্না করতে গেলে এমন ভুল হয়ে যাওয়া স্বাভাবিকও। কখনও মনের ভুলে এক মশলা দু’বার দিয়ে ফেলা, গরমমশলা হাত থেকে বেশি প়ড়ে যাওয়ার মতো ভুল হয় যে কোনও বাড়িতেই। কিন্তু তার পর কী করণীয়?
ক্রিম, দুধ বা দই: গরমমশলার তীব্র গন্ধ থাকে। সেই গন্ধ কমাতে হলে ক্রিম বা দই যোগ করতে পারেন। কী রান্না করছেন তার উপর নির্ভর করবে, কোনটা মেশানো যায়। চিংড়ি মাছ রান্না করলে নারকেলের দুধ মিশিয়ে দিতে পারেন। মাছের কালিয়া হলে এক দুই চামচ দুধের সর ফেটিয়ে মিশিয়ে দিতে পারেন। এতে খাবারের স্বাদ বৃদ্ধি পাবে। এঁচোড়ে ক্রিম দিতে পারেন অথবা টক দই সামান্য একটু ফেটিয়ে দেওয়া যেতে পারে।
আরও পড়ুন:
অ্যাসিড জাতীয় কিছু: অতিরিক্ত মশলার গন্ধ দূর করার জন্য অ্যাসিড জাতীয় কিছু দেওয়া যায়। যেমন আলুরদম। একটু লেবুর রস মিশিয়ে দিতে পারেন রান্নায়। যোগ করতে পারেন টম্যাটোও। সাদা ভিনিগারও রান্না অনুযায়ী মেশানো যায়।
যোগ করুন স্টার্চ: যে রান্না করছেন তাতে আলু বা অন্য সব্জি দেওয়া যায় কি? স্টার্চ যোগ করলেও খাবারের অতিরিক্ত মশলা বা নুন কিংবা ঝাল কমে যেতে পারে। চাল, পনির যোগ করেও মশলার গন্ধ কাটানো যেতে পারে।
মিষ্টত্ব: কখনও কখনও সামান্য চিনি বা গুড় যোগ করলেও মশলার জন্য স্বাদের যে হেরফের, তা কাটানো যেতে পারে। রান্না অনুযায়ী সেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
পরিবেশন: মশলাদার খাবারের সঙ্গে কম তেলমশলার খাবার দিলেও স্বাদে ভারসাম্য আসবে। মাছের কালিয়ায় গরমমশলা বেশি হয়ে গিয়েছে? সাদা ভাতের সঙ্গে সেটি মেখে খেলে, স্বাদ খারাপ লাগবে না।