চিট মিলের কথা ভাবলেই জিভে জল চলে আসে। বিশেষ করে যদি ডায়েটিং করেন। নিয়মিত পরিমিত, পুষ্টিকর খাবার সময় ধরে খেতে খেতে স্বাদ বদল করতে ইচ্ছা হয় বৈকি। কিন্তু পিজা, বার্গার, লুচি কি জীবন থেকে বাদ দেওয়া যায়? নিউট্রিশনিস্টরা বলছেন, ডায়েট রুটিন চিট করে এগুলো খেতেই পারেন। তবে একটু বুদ্ধি করে। আর মাথায় রাখতে হবে কয়েকটা বিষয়।
মোটা হলে ‘না’ বলুন
চিট মিল কিন্তু সকলের জন্য নয়। যদি আপনি সত্যিই মোটা হন, (বডি ফ্যাটের পরিমাণ ২০-৩৫%), কোনও দিন জিমে না গিয়ে থাকেন ও সত্যিই রোগা হওয়ার চেষ্টা করছেন তাহলে চিট মিলের কথা ভুলেই যান। অন্তত ডায়েট প্রোগ্রাম শুরু করার ৯০ দিনের মধ্যে তো অবশ্যই নয়। শরীরে যত বেশি মেদ থাকবে গ্লাইকোজেন ফ্যাটে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনাও তত বাড়বে। আর যদি অতিরিক্ত খাওয়ার কারণেই আপনি মোটা হয়ে থাকেন তাহলে চিট মিল অল্প খেয়ে কখনও থামতে পারবেন না। সেটা আপনার অভ্যাস নয়।
চিট নয়, রি-ফিডিং মিল
অনেক সময় চিট মিল অনেক ক্ষণ ধরে খাই আমরা। বিশেষ করে পানীয়ের সঙ্গে। এ ক্ষেত্রে রি-ফিডিং মিল বেছে নিন। এই ধরনের খাবারে প্রয়োজনীয় কাবোহাইড্রেট থাকে যা গ্লাইকোজেন ফ্যাটে পরিণত হতে দেয় না। চিট মিলের উপাদান যা কিছু হতে পার কিন্তু রি-ফিডিং মিলের উপাদান উপকারী কার্বোহাইড্রেট বা ফল। তাই এরপর থেকে চিট মিল খাওয়ার কথা ভাবলে এমন কোনও ফুড জয়েন্টে যান যেখানে চিকেন, মাছ, ভাত পাবেন।
এক্সারসাইজের আগে বা পরে
যদি চিট মিল খেতে চান তাহলে একটু বুদ্ধি করে খান। হয় ওয়ার্কআউটের আগে, নয়তো পরে খান। ওয়ার্কআউটের আগে খেলে গ্লাইকোজেন ফ্যাটে পরিণত হওয়া রুখে দেবে। পরে খেলে তা পেশীর ক্ষয় মেটাতে সাহায্য করবে।
সময়
চিট মিল খাওয়ার ক্ষেত্রে সময় খুব গুরুত্বপূর্ণ। চিট মিল যত ছোট হবে, যত কম সময় ধরে খাবেন ক্ষতির পরিমাণও তত কম হবে। চিট মিল যেন কখনই ৩০-৪৫ মিনিটের বেশি সময় ধরে না খাওয়া হয়।
নিয়ম: সহজ ভাবে বোঝার চেষ্টা করুন। চিট মিল কতটা খেতে পারেন আপনার শরীরকে প্রশ্ন করলেই উত্তর পেয়ে যাবেন যদি আপনি রোগা হন তাহলে প্রায়শই চিট করতে পারেন। বডি ফ্যাটের পরিমাণ যত বেশি হবে চিট করার অনুমতিও তত কম। তবে ওবেসিটি থাকলে কিন্তু চিট মিলের কথা ভুলেই যেতে হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy