তথ্যপ্রযুক্তি হোক বা অন্যান্য পেশা, এমনকি পড়াশোনার জন্যও ল্যাপটপের দরকার এখন। স্বাভাবিক ভাবেই ল্যাপটপে ব্যাগে নিয়ে যেতেও হয়। যে হেতু ল্যাপটপের নিজস্ব ওজন ভালই, তাই উপযুক্ত ব্যাগ না হলে ধাক্কা খেয়ে ল্যাপটপ যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে, তেমনই ব্যাগের ফিতেও ছিঁড়ে যেতে পারে। আবার ল্যাপটপের উপযুক্ত ব্যাকপ্যাক থাকলে, ভার বইতেও অসুবিধা হয় না।
নতুন ব্যাকপ্যাক কেনার সময় কোন বিষয়গুলি দেখা প্রয়োজন?
১. ব্যাকপ্যাক কেনার সময় দেখতে হবে, ল্যাপটপের জন্য আলাদা খাপ রয়েছে কি না। তাতে ভাল ভাবে প্যাড দেওয়া রয়েছে কি না। এই প্যাড ছোটখাটো আঘাত থেকে ল্যাপটপটিকে বাঁচাবে।
২. ল্যাপটপ ভিজে গেলেই বিপত্তি। তাই ব্যাকপ্যাকটি জল নিরোধক হওয়া প্রয়োজন। বর্ষার সময় তো বটেই, বছরভর ব্যবহারের সময়ও ব্যাগপ্যাকের এই বৈশিষ্ট্যটি বিশেষ কার্যকর হবে। বর্ষা ছাড়াও যে কোনও মরসুমে বৃষ্টি হতে পারে। ব্যাগে কোনও সময় জল পড়েও যেতে পারে। ব্যাগ ওয়াটারপ্রুফ হলে ভিতরে জল ঢোকার আশঙ্কা থাকবে না।
আরও পড়ুন:
৩. কাঁধের ফিতে কতটা মজবুত ও আরামদায়ক, সেটাও দেখে নেওয়া জরুরি। চওড়া ও প্যাডেড ফিতে থাকলে ল্যাপটপ নিতে সুবিধা হয়। বিশেষত ব্যাকপ্যাক দীর্ঘ ক্ষণ বইতে হলে এই বৈশিষ্ট্যটি খুব জরুরি। সঙ্গে দেখা দরকার, ফিতে লম্বা ও ছোট করার ব্যবস্থা রয়েছে কি না। এক এক জনের উচ্চতা এক এক রকম হয়। সেই অনুযায়ী ফিতে ছোট-বড় করতে না পারলে অসুবিধা হবে।
৪. ল্যাপটপের সঙ্গে ট্যাবলেট থাকলে, ব্যাকপ্যাকে ট্যাবলেটের জন্য আলাদা খাপ আছে কি না, দেখে নিতে পারেন। এতে একটাই ব্যাগে বিভিন্ন জিনিস রাখতে সুবিধা হবে।
৫. ল্যাপট্যাপ নিয়ে যাঁদের দূরপাল্লার ট্রেনে বা বাসে যেতে হয়, তাঁরা দেখে নিতে পারেন, ব্যাকপ্যাকে তালা দেওয়ার মতো চেন এবং ভিতরে পকেট আছে কি না। ব্যাকপ্যাকটি কতটা বড়, ল্যাপটপে ভরার পর তাতে কতটা জায়গা থাকবে, সেগুলিও দেখে নেওয়া প্রয়োজন।