ধবধবে সাদা পোশাকে যেমন কেতাদুরস্ত ভাব থাকে, তেমনই কালো পোশাকেরও আলাদা সৌন্দর্য রয়েছে।
সাদা পোশাক কাচার সময় যতটা সতর্কতা থাকে, তা কিন্তু অন্য রঙের বা কালো পোশাক কাচার সময় থাকে না অনেকেরই। তার ফল যা হওয়ার হয়। কখনও বার দুয়েক কাচতেই ঘোর কৃষ্ণবর্ণ টি-শার্ট বা শার্টের রং ফিকে হয়ে যায়, কখনও আবার পোশাকের কালো রঙে মাখামাখি হয় অন্য জামাকাপড়।
সাদা পোশাক ধবধবে রাখতে যেমন বাড়তি সতর্কতা, যত্ন বা কৌশলের প্রয়োজন হয়, ঠিক তেমনই কালো পোশাকের রং বাঁচানোর জন্য দরকার হয় বিশেষ যত্নের।
কী কারণে কালো পোশাকের রং নষ্ট হতে পারে?
· গরম জলে জামা কাচলে দ্রুত বিবর্ণ হতে পারে।
· বেশি রাসায়নিক বা ক্ষার যুক্ত কাপড় কাচার সাবানও কালো পোশাকের রং নষ্ট করতে পারে।
আরও পড়ুন:
· চড়া রোদে বা উচ্চ তাপমাত্রায় শুকোলেও কালো জামার রং হালকা হয়ে যেতে পারে।
কালো পোশাক কাচার নিয়মবিধি?
১। প্রথমেই হালকা রঙের পোশাকের থেকে কালো শার্ট বা জামা আলাদা করে নিতে হবে। কালো রং উঠলে চট করে হালকা রঙের জামাকাপড়ে লেগে দাগ হয়ে যেতে পারে।
২। কালো রঙের পোশাকটি কোন উপকরণে তৈরি, সেটি জানা প্রয়োজনে। দামি পোশাকে, কী ভাবে সেটি কাচতে হবে বা কী ভাবে কাচলে ক্ষতি হতে পারে, সে সম্পর্কে ট্যাগে নির্দেশিকা দেওয়া থাকে। তা অনুসরণ করা দরকার।
৩। কাপড় কাচার সময় সেটি উল্টে নিন, ভিতরের দিকটা বাইরে করে তার পর কাচুন। এতে যদি কিছুটা রং ওঠেও, ভিতর দিক থেকে উঠবে। বাইরের অংশের রং চটে যাওয়ার ঝুঁকি কমবে।
৪। রঙিন কাপড় ঘরের তাপমাত্রায় থাকা জলেই কাচুন। গরম জলে কাপড়ের ক্ষতি হতে পারে।
৫। ভাল জামা কাচার জন্য বিশেষ ধরনের সাবান মেলে, যেটি মৃদু হয়। জামাকাপড়ের রং ধরে রাখার জন্য বিশেষ ভাবে প্রস্তুত হয় সেগুলি। মেশিনে কাচলে এমন পোশাক কাচার জন্য যে সাইক্ল, সেই অপশনটি বেছে নিন।
৬। কাপড় কাচার পর উচ্চ তাপমাত্রায় ড্রায়ারে না শুকিয়ে জল ঝরিয়ে ছায়াযুক্ত জায়গায় জামাটি শুকোতে দিন। চড়া রোদেও রঙের ক্ষতি হতে পারে।
আর কী খেয়াল রাখা জরুরি?
যে কোনও জামা ঘন ঘন কাচলে নষ্ট হয়ে যেতে পারে। কালো রঙের পোশাক বা জামাও তার ব্যতিক্রম নয়। কালো জামা কাচার সময় বালতি বা ওয়াশিং মেশিনে এক চা-চামচ ভিনিগার এবং সামান্য নুন মেশাতে পারেন। এতেও কালো রং উজ্জ্বল থাকে।