বর্ষা মানেই হেঁশেলের জিনিসপত্র সতেজ রাখার লড়াই। ছাতা পড়ে যাওয়া বা অতিরিক্ত আর্দ্রতায় মশলাপাতি স্যাঁতসেঁতে হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা যথেষ্ট। নুন এবং চিনি গলে যেতে থাকে। ফলে সে সব আর ব্যবহার করা যায় না। তা হলে আপনার সংরক্ষণের পদ্ধতিতে বদল আনতে হবে। তবেই মিলবে সমস্যা থেকে মুক্তির উপায়।
কী ভাবে নুন আর চিনি সংরক্ষণ করবেন?
১। টুথপিক- শুনে অবাক লাগতে পারে, কিন্তু টুথপিক শোষক হিসেবে কাজ করতে পারে। টাটকা নুন বা চিনির কৌটোয় টুথপিক রেখে দিন। অতিরিক্ত আর্দ্রতা শোষণ করে নিতে পারে এই জিনিসটি।
২। ব্লটিং পেপার- এই কাগজের টুকরো তেল থেকে জল শোষণের জন্য সর্বত্র কাজে লাগে। এমনকি মেকআপেও এখন ব্লটিং পেপার ব্যবহার করা হয় ত্বক থেকে অতিরিক্ত তেল শুষে নেওয়ার জন্য। সেই বৈশিষ্ট্যই এখানে কার্যকরী হবে। তাই নুন এবং চিনির শিশিতে ব্লটিং পেপারের টুকরো রেখে দেওয়া উচিত। এর ফলে নুন-চিনি গলে যাওয়ার সমস্যা কমবে। স্বাদও নষ্ট হবে না।
নুন ভিজে যাওয়া রুখে দিন।
৩। বায়ুরোধী পাত্র- কেবল নুন আর চিনি কেন, বর্ষায় সব রকমের উপাদানই বায়ুরোধী পাত্রে সংরক্ষণ করা উচিত। না হলে বাতাসের অতিরিক্ত আর্দ্রতা মশলাপাতির সংস্পর্শে চলে আসবে আর সেগুলি দলা পাকিয়ে যাবে।
৪। রাজমা- বর্ষায় নুন ও চিনির স্বাদ ধরে রাখতে উপকারী রাজমা। কারণ, এতে থাকে হাইগ্রোস্কোপিক বৈশিষ্ট্য। বাতাস থেকে আর্দ্রতা শুষে নেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে রাজমার। নুন আর চিনির বোতলে তাই কয়েকটি রাজমা রেখে দিলে উপকার মিলতে পারে।
৫। শুকনো পার্সলে পাতা- নুন ও চিনিকে ভিজে যাওয়া থেকে রোধ করতে, স্বাদ-গন্ধ নষ্ট হয়ে যাওয়া থেকে রুখতে অনেকেই শুকনো পার্সলে পাতা ব্যবহার করেন। নুনদানিতে নুন রাখার আগে একেবারে তলায় খানিকটা (পাত্রের চার ভাগের এক ভাগ) শুকনো পার্সলে পাতা রেখে দিন।