মেঝে হোক বা স্নানঘর, দাগছোপ তোলার জন্য বাজারচলতি হরেক জিনিস রয়েছে। তাতে থাকে রকমারি রাসায়নিক। যার প্রভাবে চট করে ময়লা পরিষ্কার হয়। তবে এই ধরনের ঘর পরিষ্কারের রাসায়নিকের ক্ষতিকর প্রভাব উড়িয়ে দেওয়া যায় না।
তার চেয়ে বরং বাড়িতেই বাড়তি উপকরণ দিয়ে বানিয়ে ফেলতে পারেন ‘বায়ো-এনজাইম’। পরিবেশবান্ধব এই উপকরণ দিয়ে ঘর পরিষ্কারের চলও ইদানীং তৈরি হচ্ছে। অনলাইনে খোঁজ করলেই মিলছে তা। তবে চাইলে সহজ পন্থায় তা বাড়িতেও বানিয়ে নেওয়া যায়।
কী এই বায়ো এনজাইম?
আনাজপাতির খোসা মজিয়ে তৈরি এই দ্রবণে ভাল ব্যাক্টেরিয়া জন্মায়। সেই ব্যাক্টেরিয়ার দ্বারা উৎপন্ন এনজাইম বা উৎসেচকই দাগ পরিষ্কারে সাহায্য করে।
সুবিধা
· এটি পরিবেশবান্ধব।
· ছোট ফাটল বা ফাঁকে ঢুকেও বায়ো-এনজাইম যে ভাবে ময়লা পরিষ্কার করে, রাসায়নিক দিয়ে সব সময় তা সম্ভব হয় না।
· বায়ো-এনজাইম ব্যবহারে দূষণ ছড়ায় না। এটি স্বাস্থ্যের পক্ষেও ক্ষতিকর নয়।
· রাসায়নিকের চড়া গন্ধ নয়, বরং মৃদু গন্ধ থাকে এতে।
কী ভাবে বাড়িতেই বানাবেন ঘর পরিষ্কারের এই দ্রবণ?
এ জন্য লাগবে কিছুটা গুড়, বেশ কিছুটা লেবু জাতীয় ফলের খোসা (পাতিলেবু, মুসাম্বি, কমলালেবু), জল, প্লাস্টিকের বোতল।
পদ্ধতি: তিন কাপ ফলের খোসা নিলে এক কাপ গুড় লাগবে। আর দিতে হবে ১০ কাপ জল। একটি পাত্রে জল হালকা গরম করে গুড় গুলে নিন। মিশ্রণটি ঘরের তাপমাত্রায় আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।
এ বার একটি প্লাস্টিকের বোতলে লেবুর খোসা দিয়ে গুড়-জল ঢেলে দিন। বোতলের উপরের অংশটি একটু ফাঁকা রাখতে হবে, যাতে উৎপন্ন গ্যাস সেখানে থাকতে পারে। বোতলের ঢাকনা আটকে ঘরের কোনায় যেখানে রোদ আসে না, সেখানে রেখে দিন ফারমেন্টশন বা মজানোর জন্য। এ ভাবে এক মাস রাখতে হবে। দিনে দু’বার বোতলের ঢাকনা খুলতে হবে, যাতে বোতলে জমে থাকা গ্যাস বেরিয়ে যায়।
এ ভাবে ৯০ দিন রাখলেই তৈরি হয়ে যাবে ঘর পরিষ্কারের জৈবিক তরল। মিশ্রণটি পরিষ্কার বোতলে ঢেলে রাখতে পারেন।
কী ভাবে ব্যবহার করবেন:
ঘর পরিষ্কারের জন্য দশ ভাগ জলের সঙ্গে ১ ভাগ দ্রবণ মিশিয়ে নিন।
বাসনপত্রও পরিষ্কার করা যাবে এই তরল দিয়ে। এক মগ জলে ১ ছিপি মিশিয়ে নিলেই হবে।
জলে মিশিয়ে এই দ্রবণ গাছের গোড়াতেও দেওয়া যাবে।