তাইওয়ানকে ঘিরে চিনা নৌ এবং বিমানবাহিনীর যুদ্ধ মহড়ায় উদ্বেগজনক কিছু দেখছেন না মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মঙ্গলবার (ভারতীয় সময়) ট্রাম্প বলেন, ‘‘প্রেসিডেন্ট শি (চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং)-এর সঙ্গে আমার খুব ভাল সম্পর্ক। তিনি মহড়ার বিষয়ে আমাকে কিছুই বলেননি। তবে আমি অবশ্যই এটা দেখেছি।’’
এর পরেই মার্কিন প্রেসিডেন্টের মন্তব্য, ‘‘না, কোনও কিছুই আমাকে উদ্বিগ্ন করছে না। তারা (চিন) ওই এলাকায় গত ২০ বছর ধরেই নৌ মহড়া চালিয়ে আসছে।’’ প্রসঙ্গত, সোমবার থেকে ‘স্পর্শকাতার এলাকা’ হিসাবে চিহ্নিত তাইওয়ান প্রণালীতে ‘জাস্টিস মিশন ২০২৫’ নামে যুদ্ধমহড়া শুরু করেছে চিনা পিপলস্ লিবারেশন আর্মি (পিএলএ)। চিনের বিদেশ দফতর ঘোষণা করেছে, তাদের এই মহড়া বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তিগুলির জন্য বড় শাস্তি। এ ক্ষেত্রে ‘বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তি’ হিসেবে ‘স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বপন্থী’ তাইওয়ান সরকারকেই চিহ্নিত করেছে জিনপিং সরকার।
আরও পড়ুন:
প্রসঙ্গত, দ্বীপরাষ্ট্র তাইওয়ানকে বেজিং বরাবরই নিজের অংশ বলে দাবি করে। ২০২২ সালের অগস্টে চিনের আপত্তি খারিজ করে আমেরিকার কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ হাউস অফ রিপ্রেজ়েনটেটিভসের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফরের পরেই নতুন করে উত্তেজনা তৈরি হয়। সে সময় ধারাবাহিক ভাবে তাইওয়ানের আকাশসীমা লঙ্ঘন করতে শুরু করেছিল চিনা যুদ্ধবিমান। চিন-তাইওয়ান সঙ্কটের আবহে সে সময় আমেরিকার সপ্তম নৌবহরের অন্তর্ভুক্ত কয়েকটি যুদ্ধজাহাজ তাইওয়ান প্রণালীতে ঢুকেছিল তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নির্দেশে। চলতি মাসে তাইওয়ানকে ১১১০ কোটি ডলারের (প্রায় ১ লক্ষ ২৬৩ কোটি টাকা) অস্ত্র সরবরাহ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ট্রাম্পের সরকার। আমেরিকা-তাইওয়ান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ইতিহাসে এটিই বৃহত্তম সামরিক সহযোগিতা।