—প্রতীকী ছবি।
সকালের জলখাবারে পাউরুটির সঙ্গে মাখন লাগবেই। স্বাস্থ্যের কথা ভেবে যতই পিনাট বাটার খান না কেন, দুধের স্বাদ কি আর ঘোলে মেটে? মাঝেমধ্যে তো আসল মাখন খেতে ইচ্ছে করতেই পারে। কিন্তু দোকান থেকে কেনা মাখন খেলে যদি ক্ষতি হয়, সেই ভেবে বাড়িতেই তা তৈরি করতে চান। কিন্তু কী ভাবে করতে হয়, জানেন না। দুধের সর থেকে মাখন তৈরির সহজ পদ্ধতি রইল এখানে।
বাড়িতে কী ভাবে মাখন তৈরি করবেন?
১) মাখন তৈরি করতে যে যে পাত্র লাগবে, সেগুলি আগে থেকে ফ্রিজে রেখে দিন। ঠান্ডা পাত্রে দুধের সর ফেটানোর কাজ অনেকটা সহজ হয়।
২) এর পর ঘন দুধের উপর থেকে পুরু সর তুলে সরিয়ে রাখুন। বাজারে বিভিন্ন ধরনের দুধ কিনতে পাওয়া যায়। স্বাস্থ্যের কথা ভেবে অনেকেই ডবল টোন্ড, ফ্যাট ফ্রি বা স্কিম্ড মিল্ক খেয়ে থাকেন। তা শরীরের জন্যে ভাল। তবে মাখন তৈরিতে এগুলি খুব একটা কাজে আসে না।
৩) এবার ফ্রিজে রাখা ঠান্ডা ব্লেন্ডারের জারের মধ্যে দুধের সর দিয়ে ভাল করে ফেটাতে থাকুন। অনেকে কাঠের ডাল-ঘুটনি দিয়েও ফেটানোর কাজ করে থাকেন। সে ক্ষেত্রে সময় বেশি লাগবে।
৪) যে মুহূর্তে দুধের সর থেকে ফ্যাট জমাট বাঁধতে শুরু করবে এবং তা থেকে তরল আলাদা হয়ে যাবে, তখন ব্লেন্ডার বন্ধ করে দেবেন।
৫) ভেসে থাকা ফ্যাট অত্যন্ত সন্তর্পণে তুলে নেওয়ার পর অবশিষ্ট হিসেবে যে তরল পড়ে থাকে, তা বাটারমিল্ক হিসেবে খেয়ে থাকেন অনেকেই।
৬) এ বার ঠান্ডা জলে দুধের ফ্যাট জমা ওই মণ্ড ভাল করে ধুয়ে নিতে হবে। যাতে ওই মণ্ডের গায়ে কোনও ভাবেই তরল লেগে না থাকে। অনেকেই এই মণ্ড ধোয়ার জন্যে বরফগলা জল ব্যবহার করেন। তাতে ফ্যাট জমতে সুবিধে হয়।
৭) চাইলে এই মণ্ডে নুন মিশিয়ে নিতে পারেন। শুধু স্বাদ নয়, মাখন সংরক্ষণের করতেও সাহায্য করে নুন।
৮) এ বার ওই মণ্ড পছন্দের আকারে গড়ে নিয়ে ফ্রিজে রেখে দিন। অনেকে পার্চমেন্ট কাগজেও মাখন মুড়ে রাখেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy