ভারতীয় হেঁশেলে কাঁচা হলুদের ব্যবহার রান্নার স্বাদবৃদ্ধি থেকে স্বাস্থ্যরক্ষা পর্যন্ত বিস্তৃত। ভাজাভুজি হোক অথবা কষিয়ে রান্না, হলুদ থাকবেই। তবে সমস্যা হল, অধিকাংশ ক্ষেত্রে কাঁচা হলুদের বদলে গুঁড়োমশলা দেওয়া হয়। কিন্তু গুঁড়োয় তুলনায় কাঁচা হলুদ খাওয়া বেশি উপকারী। হলুদে থাকা কারকিউমিন নামক অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টের জন্যই এর এত কদর। ভিটামিন ই বা ভিটামিন সি-র তুলনায় পাঁচ থেকে আট গুণ বেশি কার্যকরী অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট কারকিউমিন শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। পাশাপাশি, কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে, শরীরে প্রদাহ নাশ করে। তাই এই কাঁচা হলুদ দিয়েই ঘরে বানিয়ে নিতে পারেন রকমারি পদ।
কাঁচা হলুদের আচার
শীতকালের জন্য উপযুক্ত। টুকরো করা কাঁচা হলুদ প্রথমে গরম সর্ষের তেলে মেশাতে হয়। তার পর তাতে কাঁচালঙ্কা, নুন, রসুন ও আদা— সব দিয়ে চটজলদি বানানো যায় এই আচার। সকালে পরোটার সঙ্গে দারুণ লাগে খেতে।
কাঁচা হলুদের আচার। ছবি: সংগৃহীত।
হলুদের তরকারি
উত্তরপ্রদেশ ও রাজস্থানে জনপ্রিয় এই পদ। কাঁচা হলুদ, বেসন, আদা ও বিভিন্ন মশলা ব্যবহার করে মাখামাখা এই তরকারি তৈরি করা হয়। গরম গরম রুটি ও ভাতের সঙ্গে খাওয়া যায় এই তরকারি।
কাঁচা হলুদের থোক্কু
তামিলনাড়ুতে এই পদের সুখ্যাতি প্রচুর। থোক্কু মূলত কাঁচা হলুদ, তেঁতুল, শুকনোলঙ্কা ও তিলের তেল দিয়ে তৈরি ঘন ও ঝাল ঝাল চাটনি। দোসা, ইডলি, উত্তপ্পম, এমনকি দই-ভাতের সঙ্গেও ভাল লাগে।
কাঁচা হলুদের ঘি
কাঁচা হলুদ ধীরে ধীরে দেশি ঘিয়ে ফুটিয়ে নেওয়া হয়। তার পর ছেঁকে নেওয়া হয়। পরে অন্য রান্নায় ব্যবহার করা যেতে পারে অথবা রুটির উপর মাখিয়েও খেতে পারেন।
কাঁচা হলুদের ঘি। ছবি: সংগৃহীত।
কাঁচা হলুদের চাটনি
হিমাচল এবং উত্তরাখণ্ডে এই চাটনি পাতে রাখার চল রয়েছে। গোটা সর্ষে, লেবুর রস ও নুনের সঙ্গে কাঁচা হলুদ বেটে তৈরি করা হয় ঝাঁঝালো স্বাদের এই চাটনি। যে কোনও খাবারের সঙ্গে খেতে পারেন।
হলুদের কাঞ্জি
উত্তর ভারতের জনপ্রিয় পানীয় তৈরি করতে পারেন কাঁচা হলুদ দিয়ে। জলে কাঁচা হলুদ, গাজর ও সর্ষেগুঁড়ো মিশিয়ে তৈরি করা হয় টক টক পানীয়।
হলুদের থেপলা
শীতকালের জন্য সেরা খাবার গুজরাতি এই পদ। থেপলার ময়ানে কাঁচা হলুদ দেওয়া হয়। সঙ্গে থাকে মেথি পাতা, নুন, গোলমরিচ ও জিরে।