উৎসব-অনুষ্ঠানে মিষ্টি দোকান থেকে আনাই যায়। কিন্তু এমন দিনে শখ করে নিজে হাতে মিষ্টি বানানোর আনন্দই আলাদা। আর হাতে বানানো মিষ্টি খেয়ে কেউ প্রশংসা করলে সেই আনন্দ দ্বিগুণ হয়ে যায়।
আরও পড়ুন:
সামনেই কালীপুজো, দীপাবলি, ভাইফোঁটা। মিষ্টিমুখ ছাড়া আনন্দ অসম্পূর্ণ। এমন উৎসবে বানিয়ে ফেলুন রসালো গুলাব জামুন। বাঙালির পান্তুয়ার মতো দেখতে বটে। তবে আসল তফাত উপকরণে। পান্তুয়া ছানা দিয়ে তৈরি হলেও, গুলাব জামুনে ব্যবহার হয় খোয়া ক্ষীর।তবে নরম মিষ্টি তৈরিতে দুটো উপকরণ মিশিয়েও নেওয়া যায়।
কোন কৌশল মাথায় রাখা জরুরি
• গুলাব জামুনে খোয়া ক্ষীর আবশ্যিক উপাদান। তবে এই খোয়ার উপরেই নির্ভর করে মিষ্টি কতটা নরম হবে। খোয়া ক্ষীর সাধারণত শক্ত হয়। মিষ্টি তৈরির সময় খোয়া ক্ষীর শুধু ভাল করে গুঁড়ো করে নিলেই চলবে না, হাতের তালুর সাহায্যে থালায় তা চাপ দিয়ে ডলে ডলে মিহি করতে হবে। খোয়া ক্ষীর নরম মণ্ড করে তুলতে হবে।
• খোয়া ক্ষীরের সঙ্গে ময়দা, বেকিং পাউডার, ঘি মিশিয়ে মিষ্টি তৈরি করা হয়। তবে নরম করতে চাইলে খোয়া ক্ষীরের সঙ্গে পনির বা জল ঝরানো ছানাও দিতে পারেন। দু’টি উপকরণ হাত দিয়ে ডলে ডলে মিহি করে নেওয়া জরুরি।
• ক্ষীর, পনির মাখার সময় মেশাতে হবে একটু ঘি, ময়দা, বেকিং সোডা। মিশ্রণটি শক্ত মনে হলে অল্প জল বা দুধ মেশানো যায়। ৮-১০ মিনিট সমস্ত উপকরণ নরম করে মাখতে হবে। সেটি কিছু ক্ষণ চাপা দিয়ে রেখে ছোট গোল বল বানিয়ে নিন।
• গুলাব জামুনের রস তৈরিও গুরুত্বপূর্ণ। একবারে পাতলা বা গাঢ়, কোনওটাই হবে না। জলে চিনি, কেশর দিয়ে ফুটিয়ে নিন। হালকা চটচটে ভাব এলেই যথেষ্ট।
• গুলাব জামুনের বল তেলে বা ঘিয়ে ভাজার সময় তাপমাত্রা সম্পর্কে সচেতন থাকা প্রয়োজন। তেল বেশি গরম হলে বাইরেটা দ্রুত গাঢ় রং ধরলেও ভিতরে কাঁচা থাকবে। সমস্ত অংশ ভাল ভাবে ভাজার জন্য তেলটি হাতার সাহায্যে ঘোরাতে থাকুন।
• সব শেষে ভাজা গুলাব জামুন চিনির রসে ডুবিয়ে রাখতে হবে। অন্তত ২-৩ ঘণ্টা।