বয়স্কদের মনের কথা বলার জায়গা করে দিন। ফাইল চিত্র
অতিমারি নিয়ে চিন্তায় উদ্বিগন সকলেই। তবে পরিসংখ্যান বলছে, উদ্বেগ বেশি দেখা যাচ্ছে প্রবীণদের মধ্যে। তার নানা কারণ খুঁজে বার করা যায়। যেমন করোনায় সঙ্কটজনক গোষ্ঠী বলে চিহ্নিত তাঁরা, তেমনই অন্য রোগের আশঙ্কাও তাঁদের মধ্যে বেশি। ফলে কী ভাবে চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন, সময়ে সব পাওয়া সম্ভব কি না, সে সবও উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। তার উপরে সঞ্চয় নির্ভর জীবন। ব্যাঙ্কে সুদের হার কমছে। ফলে অর্থের চিন্তা উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। কিন্তু এ সবের মধ্যেও প্রবীণদের ভাল রাখা জরুরি।
কী ভাবে তা সম্ভব হবে? সাহায্য করতে পারেন নবীনরা। বাড়িতে বয়স্ক কাউকে অরিক্তি চিন্তা করতে বা কথায় কথায় উদ্বিগ্ন হতে দেখলে কী করতে হবে? মনোরোগ চিকিৎসকেদের পরামর্শ—
১) বয়স্কদের মনের কথা বলার জায়গা করে দিন। অনেক সময়েই কম বয়সিরা ব্যস্ত থাকেন। কিন্তু তার মধ্যেও প্রবীণদের জানা দরকার যে, ছোটরা তঁদের কথা শুনতে ইচ্ছুক।
২) বয়স্করা কথা বললে, একটু মন দিয়ে শুনুন। সব সময়ে সুযোগ না হতে পারে। কিন্তু কখনও মন না দিলে তাঁদের মনে চাপ বাড়বে।
৩) তাঁদের রোজের জীবনে প্রয়োজনীয় কাজগুলো করতে সাহায্য করুন। খাওয়া বা ওষুধ খাওয়ার সময় ঠিক করে দিন। কী বই পড়লে ভাল লাগতে পারে, আলোচনা করুন।
মনোরোগ চিকিৎসক অনিরুদ্ধ দেব বলছেন, ‘‘বয়স্ক মানেই কঠিন কথা আলোচনা করবেন না, এমন নয়। কিন্তু করোনা সংক্রান্ত সমস্যার বাইরেও কোনও বিষয় নিয়ে কথা বলুন তাঁদের সঙ্গে।’’ কম বয়সিরা কাজের ফাঁকে অনেক সময় দিতে পারেন না হয়তো। কিন্তু প্রবীণরা যাতে নিজেদের পছন্দের মানুষদের সঙ্গে কথা বলতে পারেন, গল্প করতে পারেন, সে ব্যবস্থা করে দেওয়া জরুরি বলে পরামর্শ চিকিৎসকের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy