বিপদ থেকে বাঁচতে কী কী মাথায় রাখবেন? ছবি: সংগৃহীত।
যে কোনও মুহূর্তে খেলা দেখাতে শুরু করবে ঘূর্ণিঝড় রেমাল। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার বেগে বইবে ঝোড়ো হাওয়া। গতিপথ ভুল করে যদি রেমাল বাংলাদেশে প্রবেশ করে, তা হলেও তার রেশ এসে পড়বে এ রাজ্যে। আমপানের সময়ে যা হয়েছিল, সেই ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি হতে পারে রেমালের ক্ষেত্রেও। ঝোড়ো হাওয়া, তুমুল বৃষ্টির সঙ্গে আকাশ ভেঙে পড়ার মতো বাজের শব্দ মনে ভয় ধরাতেই পারে। তবে, বাজ থেকে যে বাড়ির বৈদ্যুতিন সমস্ত যন্ত্রপাতি নষ্ট হয়ে যেতে পারে, সে কথা ভুললে কিন্তু চলবে না। বিপদ আসার আগে কয়েকটি বিষয় জেনে রাখা প্রয়োজন।
১) রেমাল তার দাপট দেখাতে শুরু করার আগেই বাড়ির মেন সুইচ বন্ধ করে দিন। এই টোটকায় কিন্তু অনেক ধরনের বিপদের হাত থেকে বেঁচে যেতে পারেন।
২) বৈদ্যুতিন যন্ত্রপাতি ভাল রাখতে অনেক বাড়িতেই ‘আর্থিং’ করা থাকে। সেই ভেবে সুইচ বন্ধ না করলে কিন্তু ভুল করবেন। আবার সুইচ বন্ধ আছে ভেবে ‘প্লাগ পয়েন্ট’ থেকে প্লাগ না খুললেও কিন্তু বিপদ হতে পারে।
৩) অনেকেই রাত করে খাবার খান। টিভিতে ঝড়ের ‘ল্যান্ডফল’-এর দৃশ্য উপভোগ করতে করতে গরমাগরম খাবার খাবেন বলে মনস্থ করেছেন। তবে ঝড়ের সময়ে যদি মাইক্রোঅয়েভ চালাতে যান, যখন তখন বিপদ ঘটতে পারে। এমনকি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়ার আশঙ্কাও থেকে যায়।
৪) কাজের সুবিধা কিংবা ছোট ফ্ল্যাটে জায়গা বাঁচানোর জন্য অনেকেই ফ্রিজ, ওয়াশিং মেশিনের উপর কাঠের তাকের মধ্যে মাইক্রোঅভেন রাখেন। ঝড়বৃষ্টির সময়ে এতগুলি বৈদ্যুতিন যন্ত্র কাছাকাছি না রাখাই ভাল। একটি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হলে পর পর সবগুলি যন্ত্র নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
৫) এক দিকে টিভিতে ঝড়ের গতিপথ দেখছেন। অন্য দিকে বার বার চোখ চলে যাচ্ছে জানলার কাচের দিকে। কখন আকাশ চিরে আলো ঝলসে উঠবে, সঙ্গে সঙ্গে টেলিভিশন বন্ধ করে দেবেন! বিপদ তো বলে আসে না। তাই এমন ঝুঁকি না নেওয়াই ভাল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy