বড়দিন মানেই কি বাইরে গিয়ে ভিড় ঠেলে পার্টি করতে হবে? এমনও তো হতে পারে আপনার ছুটি নেই। অফিস এসেছেন। রাতে বাড়ি ফিরবেন। বন্ধুবান্ধব দূরে। তাই পার্টি হবে না। হয়তো উৎসবমুখর সন্ধে এবং রাতটা একাই কাটবে আপনার। তা বলে আপনি বড়দিন উদ্যাপন করবেন না? চাইলে বাড়িতে একা বসেও নিজের মতো করে ক্রিসমাস উদযাপন করতে পারেন।
১. ক্রিসমাস মুভি
কম্বল মুড়ি দিয়ে পছন্দের কিছু সিনেমা দেখে নিতে পারেন। সময় কাটানোর এর থেকে ভাল উপায় আর দু’টি নেই। হলিউডের কিছু ক্লাসিক সিনেমা দেখতে পারেন। যেমন— ‘হোম অ্যালোন’, ‘দ্য পোলার এক্সপ্রেস’, ‘আ ক্রিসমাস ক্যারোল’, ‘ ক্লজ়’ ইত্যাদি। বলিউডেও পুরনো কিছু ক্রিসমাস মুভি রয়েছে— যেমন ‘বড়া দিন’, ‘শানদার’ ইত্যাদি। এ ছাড়াও বিভিন্ন ওটিটি প্ল্যাটফর্ম বড়দিন উপলক্ষে নানা ধরনের রমকম বা ক্রিসমাস থিমের সিনেমা এবং সিরিজ় আনে। সে সবও দেখতে পারেন।
২. রান্না করুন
বড়দিনে কেক নিশ্চয়ই খেয়েছেন। একা বাড়িতে থাকলে বরং একখানি কেক বানিয়েও নিন। পছন্দের ফ্লেভার, বাদাম, শুকনো ফল কিনে আনুন সুপার মার্কেট থেকে। তার পরে নিজের জন্য নিজে কেক বানান। অভেন না থাকলে ঘরোয়া পদ্ধতিতেও কেক বানানো যায়। তাই সেই অজুহাত দেখালে চলবে না। কেক বানাতে না চাইলে নিজের জন্য বিশেষ ডিনারও রেঁধে নিতে পারেন। রোস্টেড মুরগির মাংস, পাস্তা, নুড্লস বা পছন্দের যে কোনও রান্না নিজে হাতে রেঁধে ফেলুন। রাতে গরম হট চকোলেটও বানিয়ে নিতে পারেন নিজের জন্য।
৩. ঘর সাজান
পার্টি না থাক, নিজের ঘরটাকেই পার্টির মতো করে সাজিয়ে নিন। ক্রিসমাস ট্রি, নানা ধরনের পুতুল, মিনিয়েচার আলো এবং মোমবাতি জ্বালিয়ে ঘরে চালিয়ে দিন মন ভাল করা গান।
৪. বই পড়া
ঘর সাজিয়ে এবং হাতে গরম কফি বা হট চকোলেট নিয়ে কোনো ক্লাসিক উপন্যাস নিয়ে বসুন। কোথা দিয়ে সময় গড়িয়ে যাবে খেয়ালই করতে পারবেন না।
৫. ভার্চুয়াল মিট
বন্ধুরা কাছে নেই। তবে আগে থেকে কথা বলে রাতে ভিডিয়ো কল করুন। গল্প এবং আড্ডার পাশাপাশি ওই সময়ে নানা রকম মজাদার খেলা বা অ্যাক্টিভিটিও রাখতে পারেন।