গত বছর কেন্দ্রই বলেছিল মাত্র ২০ শতাংশ নয়, সিগারেটের প্যাকেটের ৮৫ শতাংশ জুড়েই ছাপতে হবে স্বাস্থ্য বিষয়ক সতর্কবার্তা। যা চালু হওয়ার কথা ছিল এ বছরের এপ্রিল থেকে। কিন্তু হয়নি। এ বার ধূমপান কমাতে স্বাস্থ্য সতর্কতার নতুন সেই বিধি কার্যকরের দিন আরও এক বছর পিছিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল সরকার। জানাল, তা চালু করতে হবে ২০১৬-র এপ্রিল থেকে। স্বাভাবিক ভাবেই নয়াদিল্লির এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সমালোচনায় মুখর হয়েছে বিভিন্ন মহল। ধূমপান বিরোধী সংগঠনগুলির অভিযোগ, যে দেশে এই নেশার জেরে বছরে ৯ লক্ষ মানুষের প্রাণ যায়, সেখানে তা আটকানোর প্রক্রিয়ায় এই দেরি কায়েমি স্বার্থ রক্ষার জন্য ইচ্ছাকৃত ভাবেই করা হল। আগামী বছরেও নতুন নিয়ম কার্যকর হবে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন অনেকে।
সরকারি সূত্র জানিয়েছে, নতুন ওই সতর্কীকরণ বিধি তামাক শিল্পে কতটা প্রভাব ফেলবে তা একটি সংসদীয় কমিটি পর্যালোচনা করে দেখছে বলে জানানোর পরেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের আধিকারিকদের দাবি, নতুন বিধি অনুযায়ী সিগারেটের মোড়ক বদলাতে সংস্থাগুলির আরও কিছুটা সময় লাগবে। এ ছাড়া, পুরনো বিধি অনুযায়ী সতর্কীকরণ লেখা সিগারেটের প্যাকেটগুলি এখনও সব দোকানে রয়ে গিয়েছে। এই অবস্থায় নতুন প্যাকেট বাজারে আনার যৌক্তিকতা নেই বলেও মত মন্ত্রক কর্তাদের।
যদিও সব যুক্তিকেই স্রেফ ‘গড়াপেটা’ বলে আখ্যা দিয়েছে ধূমপান বিরোধী প্রচারকারীরা। তাদের অভিযোগ, সতর্কীকরণের নতুন বিধি চালুর সিদ্ধান্ত পিছোনো হল, কারণ ওই সংসদীয় কমিটির এক জন সদস্যের নিজস্ব তামাক কারখানা আছে। আর অন্য দু’জন মনে করেন, তামাক ও ক্যান্সারের মধ্যে কোনও যোগ নেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy