ছবি: সংগৃহীত।
রান্নায় মশলা হিসাবে যে হলুদ দেওয়া হয়, তা সাধারণত ত্বকচর্চায় ব্যবহার করা হয় না। মুখে মাখার ক্ষেত্রে আয়ুর্বেদে কস্তুরী হলুদকেই স্বীকৃতি দিয়ে এসেছে। তা সত্ত্বেও সেই হলুদ মুখে মাখেন অনেকে। এই গোত্রের হলুদকে বিজ্ঞানের ভাষায় ‘কারকিউমা লংগা’ বলা হয়। তবে গোটা পৃথিবীতে আরও অনেক ধরনের হলুদ পাওয়া যায়। যেগুলির ব্যবহারও ভিন্ন। সে সম্পর্কে কোনও ধারণা রয়েছে?
রান্নায় যে হলুদ ব্যবহার করা হয় তা শুধু খাবারের রঙের জন্য নয়, তার যথেষ্ট পুষ্টিগুণ রয়েছে। অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদানে ভরপুর এই হলুদ ক্যানসার প্রতিরোধেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
নাম হলুদ, কিন্তু রং সাদা। বিজ্ঞানের ভাযায় যাকে ‘কারকিউমা জ়েডোয়ারিয়া’ বলা হয়। রান্না বা রূপচর্চা নয়, তবে এই ধরনের হলুদ সাধারণত ঔষধি হিসাবে ব্যবহার করা হয়। অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি গুণের জন্য এই হলুদের কদর রয়েছে।
‘ওয়াইল্ড’ বা বুনো হলুদের বিজ্ঞানসম্মত নাম ‘কারকিউমা অ্যারোমাটিকা’। অনেকে এই হলুদকে কস্তুরী হলুদ নামেও চেনেন। আয়ুর্বেদে এই হলুদের চাহিদা সবচেয়ে বেশি। ত্বকে জেল্লা ফেরাতে, কালচে দাগছোপ কিংবা মেচেতার দাগ দূর করতে দারুণ কাজের এই হলুদ।
হলুদ কিন্তু তার রং কালো। হলুদের যত প্রকার রয়েছে তার মধ্যে এইটি বিরল। প্রদাহজনিত ব্যথাবেদনা নিরাময়ে সাহায্য করে এই হলুদ।
দক্ষিণ ভারতের কেরলের আল্লেপিতেও এক ধরনের হলুদ পাওয়া যায়। এই গোত্রের হলুদে কারকিউমিনের মাত্রা বেশি। দক্ষিণী রান্নাতে তো বটেই, বহু আয়ুর্বেদ ওষুধেও এই হলুদের ব্যবহার রয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy