কেমন হবে অফিসে যাওয়ার সাজ? ছবি: সংগৃহীত।
সহকর্মীরা রোজই সুন্দর সুন্দর পোশাক পরে অফিসে আসেন। পোশাকের সঙ্গে মানিয়ে ব্যাগ, গয়না কিংবা জুতো পরতেও ভোলেন না। কিন্তু যাঁরা অফিস যাওয়ার আগে স্নান করার সময় পান না, ঠিক করে খেতেই পারেন না, তাঁরা কী করে সব জিনিস গুছিয়ে রাখবেন? অনলাইনে প্রায় রোজই নানা ধরনের জিনিস আসছে। গড়িয়াহাট কিংবা নিউ মার্কেট কোথাও যাওয়ার প্রয়োজন নেই। পোশাক থেকে শুরু করে গয়না, এক ক্লিকে সবই বাড়ির দরজায় চলে আসে। সবই আছে, কিন্তু প্রয়োজনে কোনও জিনিসপত্র খুঁজে পাওয়া যায় না। যে দিন একটু সাজগোজ করতে যাবেন, সে দিন অফিসে ঢুকতে অবধারিত দেরি হবে। তবে কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখলেই অফিস যাওয়ার আগে এত ঝক্কি পোহাতে হয় না। যতই কাজের চাপ থাকুক, পোশাক বা মানানসই জিনিস বাছতে বেশি সময় লাগবে না।
১) সকালে ঘুম থেকে উঠে ধাতস্থ হতে খানিকটা সময় লাগে। তাই কী পরবেন, বা কোনটা পরবেন না, বুঝে উঠতে পারেন না অনেকেই। সকালে উঠে আলমারি খুলে হতবাক হয়ে তাকিয়ে না থেকে বরং আগের দিন রাত থেকে ঠিক করে রাখুন। তা হলে অফিসে যাওয়ার সময়ে বেশি ঝক্কি পোহাতে হয় না।
২) ক্যালেন্ডার দেখে বিশেষ দিনগুলো দাগিয়ে রাখুন। অনুষ্ঠানের সঙ্গে মানানসই পোশাক মাসখানেক আগে থেকেই ঠিক করে রাখুন। তা হলে বেরোনোর আগে শাড়ির সঙ্গে পরার মতো ব্লাউজ় বা গয়না নেই বলে হা-হুতাশ করতে হবে না।
৩) ঋতুর সঙ্গে তাল মিলিয়েও জামাকাপড় বেছে নিতে পারেন। গরমে আরামদায়ক পাতলা, সুতির পোশাক পরলে বর্ষায় শিফন বা জর্জেট চলতে পারে। শীতে অবশ্যই সোয়েটার বা জ্যাকেট থাকবে।
৪) সহকর্মীদের সঙ্গে আলোচনা করে রং মিলিয়ে পোশাক পরতে পারেন। সপ্তাহের কোন দিন কী পরবেন, আগে থেকে কথা বলে ঠিক করে রাখলেও সমস্যা কম হবে।
৫) কাজে বেরোনোর আগে পোশাক ইস্ত্রি করতেও অনেকটা সময় যায়। সবচেয়ে ভাল হয়, যদি ছুটির দিনে বেশ কয়েকটি পোশাক যদি ইস্ত্রি করে রাখতে পারেন। তা হলেও অনেকটা সময় বাঁচানো যায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy