Know the various ways of Artificial Reproduction dgtl
আইভিএফ-এর ৪০ বছর, কৃত্রিম প্রজননের আরও নানা আধুনিক পদ্ধতি
লুইস জয় ব্রাউনকে মনে আছে? ‘ইন ভিট্রো ফার্টিলাইজেশন’ বা আইভিএফ পদ্ধতিতে জন্মানো বিশ্বের প্রথম মানুষ। আজ, ২৫ জুলাই আইভিএফ পদ্ধতি ৪০ বছর অতিক্রম করল। ১৯৭৮ সালে এ দিনই রাত পৌনে ১২টায় ইংল্যান্ডের ওল্ডহ্যামে চিকিৎসক রবার্ট এডওয়ার্ডস ও প্যাট্রিক স্টেপটোর তত্ত্বাবধানে জন্ম হয় এই টেস্ট টিউব বেবির। ছবি: এএফপি।
নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ২৫ জুলাই ২০১৮ ১৬:৫৬
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১০৯
লুইস জয় ব্রাউনকে মনে আছে? ‘ইন ভিট্রো ফার্টিলাইজেশন’ বা আইভিএফ পদ্ধতিতে জন্মানো বিশ্বের প্রথম মানুষ। আজ, ২৫ জুলাই আইভিএফ পদ্ধতি ৪০ বছর অতিক্রম করল। ১৯৭৮ সালে এ দিনই রাত পৌনে ১২টায় ইংল্যান্ডের ওল্ডহ্যামে চিকিৎসক রবার্ট এডওয়ার্ডস ও প্যাট্রিক স্টেপটোর তত্ত্বাবধানে জন্ম হয় এই টেস্ট টিউব বেবির। ছবি: এএফপি।
০২০৯
ভারতে এই পদ্ধতিতে প্রথম টেস্ট টিউব বেবির জন্ম হয় এর মাস দু’য়েক পরে। যদিও কেন বাঙালি চিকিৎসক সুভাষ মুখোপাধ্যায় তাঁর গবষণার কথা দফতরকে জানালেন না, এই মর্মে মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন তাঁকে দোষারোপ করে, অবিশ্বাসও করা হয় তাঁকে। নিজের গবেষণার কৃতিত্ব অন্যের কাছে পৌঁছতে না পারার হতাশায় আত্মহত্যা করেন সুভাষবাবু।
০৩০৯
বর্তমানে এই পদ্ধতি আরও উন্নত হয়েছে। স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ মৌমিতা নাহা জানান, এখন সাধারণ আইভিএফ ছাড়াও ‘ইন্ট্রা সাইটোপ্লাজমিক স্পার্ম ইঞ্জেকশন’ (ICSI বা ইকসি), ‘এগ ডোনেশান’, ‘এমব্রায়ো ডোনেশান’-এর মাধ্যমেও গর্ভধারণ সম্ভব।
০৪০৯
চিকিৎসকের মতে, সাধারণ আইভিএফ-এ মিলনের সময় নষ্ট হয়ে যেতে পারে এমন ডিম্বাণুদের গোনাডোট্রপিন ইঞ্জেকশানের মাধ্যমে বাঁচিয়ে বাইরে বার করে আনা হয়। এর পর পুরুষের শুক্রাণু সংগ্রহ করে তাকে টেস্ট টিউবে রাখা হয়। সেখানেই ডিম্বাণুর সঙ্গে মিলিত হয় শুক্রাণু।
০৫০৯
সাধারণ আইভিএফ-এও শুক্রাণু ডিম্বাণুর সঙ্গে মিলিত হতে অক্ষম হলে শরণ নেওয়া হয় ‘ইকসি’ পদ্ধতির। এই উপায়ে চিকিৎসকরাই টেস্ট টিউবের মধ্যে যান্ত্রিক উপায়ে নিষেক ঘটান। তারপর তা প্রবেশ করানো হয় হবু মায়ের শরীরে।
০৬০৯
পুরুষ সক্ষম, অথচ মহিলা অক্ষম এমন পরিস্থিতিতে ‘ইকসি’-ও কাজে আসে না। তখন কাজে আসে ‘ওভাম ডোনেশান’ পদ্ধতি। গোনাডোট্রপিন ইঞ্জেকশানের মাধ্যমে ডিম্বাণু সংগ্রহ করা হয় রোগীর নির্বাচন করে দেওয়া কোনও সক্ষম নারীর শরীর থেকে। পুরুষটির শুক্রাণুও সংগ্রহ করে রাখা হয় গবেষণাগারে।
০৭০৯
গবেষণাগারেই যান্ত্রিক উপায়ে ঘটানো হয় নিষেক। তারপর নিষিক্ত ডিম্বাণু ঢোকানো হয় হবু মায়ের শরীরে। এ বাবেই গর্ভধারণ করেন তিনি।
০৮০৯
নারী ও পুরুষ উভয়েই অক্ষম হলে ‘এমব্রায়ো ডোনেশন’ পদ্ধতি অবলম্বন করতে হয়। এখানে হবু মা-বাবার বদলে তাদেরই বেছে দেওয়া নারী-পুরুষের শরীর থেকে ডিম্বাণু ও শুক্রাণু সংগ্রহ করে গবেষণাগারে নিষিক্ত করা হয়। সেই নিষিক্ত ডিম্বাণু প্রবেশ করানো হয় হবু মায়ের দেহে।
০৯০৯
আইভিএফ পদ্ধতির আরও একটি উপায় হল সারোগেসি। গর্ভাশয়ে সমস্যা থাকলে বা তা নিষিক্ত ডিম্বাণু ধারণে অক্ষম হলে তখন ইউটেরাস ‘ভাড়া’ নেওয়া হয়। নিষিক্ত ডিম্বাণু অন্য কোনও মহিলার গর্ভাশয়ে ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে প্রবেশ করানো হয়। শিশু বেড়ে ওঠে সেই মহিলার শরীরেই।