Advertisement
E-Paper

ঘণ্টার পর ঘণ্টা এসি চালালেও শরীর খারাপ হবে না, ঘরে কেবল একটি জিনিস রাখতে বলছেন চিকিৎসকেরা

গরমে এসি না চললে রাতে ঘুমই আসে না। এতে আরাম হচ্ছে ঠিকই, কিন্তু অন্য শারীরিক সমস্যা বাড়ছে। তা হলে উপায়? এই গরমে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্রটি তো চালাতেই হবে। এর খারাপ প্রভাব থেকে বাঁচারও উপায় আছে।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০১ এপ্রিল ২০২৫ ১২:৩৫
Long hours in air-conditioned rooms can worsen allergies, what to do

এসির কারণে অ্যালার্জি, হাঁপানির সমস্যা বেড়ে যায়, সুস্থ থাকতে হলে ঘরে একটি জিনিস রাখতেই হবে। ছবি: শাটারস্টক।

গরম পড়তে না পড়তেই বাতানুকূল যন্ত্রটি চালু হয়ে গিয়েছে নিশ্চয়ই। রোদ থেকেই ফিরেই কনকনে ঠান্ডায় গা এলিয়ে দিয়েই শান্তি। প্যাচপেচে গরম থেকে বাঁচতে অনেকের বাড়িতেই ঘণ্টার পর ঘণ্টা এসি চলছে। অনেকে তো আবার বলেন, গরমে এসি না চললে রাতে ঘুমই আসে না। এতে আরাম হচ্ছে ঠিকই, কিন্তু অন্য শারীরিক সমস্যা বাড়ছে। নাক বন্ধ, নাক দিয়ে জল পড়া, গলা বসে যাওয়া, অ্যালার্জির সমস্যাও পাল্লা দিয়ে বাড়ছে। তা হলে উপায়? এই গরমে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্রটি তো চালাতেই হবে। এর খারাপ প্রভাব থেকে বাঁচারও উপায় আছে।

কেন এসি চালালে শরীর খারাপ হয়?

আগে জেনে নেওয়া যাক, কেন এসি চালালে শরীর খারাপ হয়। বাইরে তাপমাত্রার পারদ চড়ছে, ঘরে আপনি ২৩ বা ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসেই এসির তাপমাত্রা সেট করলেন। এর পরেও কিন্তু বেশি ক্ষণ এসি চললে সর্দি-কাশি, গলাব্যথার সমস্যা হয়। মাথা যন্ত্রণা শুরু হয় অনেকেরই। এর কারণ হল, শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্রটি ঘরের তাপমাত্রা কমিয়ে দিচ্ছে ঠিকই, সেই সঙ্গে আর্দ্রতাও শুষে নিচ্ছে। ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় যে পরিমাণ আর্দ্রতা থাকা উচিত, তার অনেকটাই কমিয়ে দেয় এসি। ফলে তাপমাত্রার সঙ্গে বাতাসের আর্দ্রতার সামঞ্জস্য থাকে না। ঘরের আবহাওয়া খুবই শুষ্ক হয়ে যায়। সে কারণেই হাঁচি-কাশি, অ্যালার্জির সমস্যা বাড়ে। মাইগ্রেন বা সাইনাস থাকলে সে সমস্যা বেড়ে যায়। শরীরে জলের ঘাটতি হতে পারে। এসি শরীরকে ভিতর থেকে শুষ্ক করে দেয়। জল তেষ্টা না পেলেও কিন্তু জলের চাহিদা থাকে। তাই পর্যাপ্ত জল না খেলে পেশির টান ধরতে পারে। প্রচণ্ড ক্লান্তিবোধ হয়।

শুষ্ক আবহাওয়ায় জীবাণুদের বাড়বাড়ন্ত হয়। ফলে ‘অ্যালার্জিক রাইনিটিস’-এর সমস্যাও দেখা দিতে পারে। সে ক্ষেত্রে চোখ জ্বালা করবে, ড্রাই আইজ় বা শুষ্ক চোখের সমস্যা হবে, হাঁচি শুরু হলে থামবে না ,আর শুকনো কাশি খুব ভোগাবে।

বাঁচার উপায় কী?

এসি চালান, কিন্তু ঘরে রাখুন হিউমিডিফায়ার। ৩০০ থেকে ৪০০০ টাকার মধ্যে পাওয়া যায় হিউমিডিফায়ার। ঘরের ভিতর আর্দ্রতার ভারসাম্য রক্ষা করে। ঘরের ভিতরের বাতাস বিশুদ্ধ করে। ঘরে হিউমিডিফায়ার রাখলে অক্সিজেনযুক্ত বাতাসের পরিমাণ বাড়ে। এসি যে পরিমাণ আর্দ্রতা টেনে নেয়, তার সমপরিমাণ অক্সিজেনযুক্ত বাতাস ঘরে ছড়িয়ে দিতে পারে হিউমিডিফায়ার। এসির সঙ্গে এই যন্ত্রটিও চালিয়ে রাখলে আর নাক বন্ধ হওয়া বা অ্যালার্জির সমস্যা বাড়বে না। ছোটরাও সুস্থ থাকবে। পালমোনোলজিস্ট ভিভেক নানজিয়া জানিয়েছেন, এসির কারণে শ্বাসনালির পথ শুষ্ক হয়ে যায়, ফলে হাঁপানির সমস্যা বাড়ে। যাঁদের হাঁপানি বা সিওপিডি আছে, তাঁরাও যদি ঘরে হিউমিডিফায়ার রাখেন, তা হলে শ্বাসকষ্টের সমস্যা হবে না। নাক, গলা ও ফুসফুসের সংক্রমণ থেকেও সুরক্ষিত থাকবেন।

AC Dry Cough Allergy Sinusitis
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy