পাঁপড়কে একেবারে অন্য একটি খাবার বলে চালিয়ে দেওয়া কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না ভারতীয়রা। ছবি: সংগৃহীত
শেষ পাতে চাটনির জুটি হিসাবে পাঁপড়ের জনপ্রিয়তা বহু দিনের। কড়মড় শব্দে পাঁপড় খেতে পছন্দ করেন অনেকেই। কিন্তু এ দেশে যা পাঁপড় নামে সকলের কাছে পরিচিত, মালয়েশিয়ার রেস্তরাঁয় তা-ই বিক্রি হচ্ছে বিদেশি নাচোস হিসাবে। সম্প্রতি এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই ক্ষোভ তৈরি হয় ভারতীয় খাদ্যরসিকদের মধ্যে।
সংস্কৃতির হাত ধরে এক দেশের খাবারের স্বাদ ছড়িয়ে পড়ে অন্য দেশে। বিরিয়ানি কিংবা চিনা— অন্য ঘরানার খাবার যেমন আপন করে নিয়েছেন ভারতীয়রা, তেমনই বহু ভারতীয় খাবারও অন্য দেশে, ভিন্ন সংস্কৃতিতে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। কিন্তু তাই বলে পাঁপড়কে একেবারে অন্য একটি খাবার বলে চালিয়ে দেওয়া কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না ভারতীয়রা।
মালয়েশিয়ার ওই রেস্তরাঁ ‘এশিয়ান নাচোস’ বলে বিক্রি করা পাঁপড়ের দাম ধার্য করেছে ২৭ রিংগিট। ভারতীয় টাকায় যার দাম প্রায় ৫০০ টাকা। তাতে আরও বেশি ঘি পড়েছে আগুনে। গোল পাঁপড়ের উপর কয়েকটি উপকরণ দিয়ে বানানো সাধারণ এই খাবারের দাম এত্ত, চটেছেন অনেকেই। নিজেদের সমাজমাধ্যমে কেউ কেউ তাঁদের রাগও উগরে দিয়েছেন। অনেকের মতে, মাথা খাটিয়ে পাঁপড় দিয়ে আরও অনেক খাবার সুস্বাদু খাবার বানানো যেতে পারত। নাচোস হিসাবে বিক্রি না করে নতুন কিছু খাবার আবিষ্কার করতে পারত ওই রেস্তরাঁ। এক জন টুইটার ব্যবহারকারী লিখেছেন, এর আগে কুয়ালালামপুরের একটি রেস্তরাঁয় চিকেন পকোড়ার খুব শৌখিন নাম দেওয়া হয়েছিল। তবে তার দাম এই পাঁপড়ের পদটির মতো এত বেশি ছিল না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy