Advertisement
০৫ মে ২০২৪

মানসিক বিভাগ বন্ধ, ক্ষোভ বিষ্ণুপুরে

চিকিৎসক না থাকায় দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে বিষ্ণুপুর জেলা হাসপাতালের মানসিক বিভাগ। ফলে গড়বেতা, ইন্দাস, পাত্রসায়র প্রভৃতি দূর এলাকা থেকে আসা রোগীরা ফিরে যেতে বাধ্য হচ্ছেন। স্থানীয়রা চিকিৎসক না থাকার কথা জেনে গিয়েছেন বলে অযথা বহির্বিভাগে এসে ভিড় জমাচ্ছেন না। কিন্তু দূরদূরান্ত থেকে চিকিৎসা করাতে এসে নাকাল হয়ে ফিরে যাচ্ছেন মানুষজন।

নিজস্ব সংবাদদাতা
বিষ্ণুপুর শেষ আপডেট: ১৫ জুলাই ২০১৫ ০১:২৩
Share: Save:

চিকিৎসক না থাকায় দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে বিষ্ণুপুর জেলা হাসপাতালের মানসিক বিভাগ। ফলে গড়বেতা, ইন্দাস, পাত্রসায়র প্রভৃতি দূর এলাকা থেকে আসা রোগীরা ফিরে যেতে বাধ্য হচ্ছেন। স্থানীয়রা চিকিৎসক না থাকার কথা জেনে গিয়েছেন বলে অযথা বহির্বিভাগে এসে ভিড় জমাচ্ছেন না। কিন্তু দূরদূরান্ত থেকে চিকিৎসা করাতে এসে নাকাল হয়ে ফিরে যাচ্ছেন মানুষজন।

গড়বেতা থেকে অসুস্থ মেয়েকে বাসে নিয়ে এসেছেন শেফালি সাহা। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত চিকিৎসা করানোর আশায় থেকে ডাক্তারই যে নেই তা জানতে পারেন। তখন ক্ষোভ উগরে বলেন, “মহকুমা হাসপাতাল থেকে জেলা হাসপাতালে রূপান্তরিত হয়েছে এই হাসপাতাল। ভেবেছিলাম অন্য কোনও ছোট হাসপাতালে না পাই এখানে ঠিক মেয়ের চিকিৎসার ব্যবস্থা হবে। দুপুরে জানতে পারলাম ডাক্তারই নেই। এত দূর কষ্ট করে আসা বিফলে গেল।” ইন্দাসের সত্য পাত্র নিয়ে এসেছেন অসুস্থ মাকে। বহির্বিভাগে দাঁড়িয়ে তিনি ক্ষোভের সুরে বলেন, “কী উন্নতি হল হাসপাতালটার? বিভাগ আছে ডাক্তার নেই। এমন জানলে আসতামই না।”

বিষ্ণুপুর জেলা হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির সদস্য দিব্যেন্দু বন্দ্যোপাধ্যায় এই ক্ষোভের প্রসঙ্গ তুলে বলেন, “রোজই এ রকম বহু রোগী ক্ষোভের কথা জানিয়ে ফিরে যাচ্ছেন। সুপারকে বারবার বিষয়টি জানিয়েও কাজ হয়নি। ওই বিভাগের বহির্বিভাগ বহু দিন ধরে বন্ধ হয়ে রয়েছে। স্থানীয়রা জেনে যাওয়ায় কম আসেন। কিন্তু দূরের রোগীরা না জেনে এসে ফিরে যেতে বাধ্য হচ্ছেন।’’

হাসপাতাল সুপার সুভাষচন্দ্র সাহার মন্তব্য, “ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে এই সমস্যার কথা বহুবার জানিয়েছি। ডাক্তার না পাঠানোয় ওই বিভাগ অনেকদিনই হল খোলা যায়নি।” কবে ডাক্তার মিলবে। কবে ওই বিভাগের চিকিৎসা শুরু হবে, তা সুপার জানাতে পারেননি। বিষ্ণুপুর স্বাস্থ্য জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক অরবিন্দ হালদার বলেন, “একজন মানসিক রোগের চিকিৎসকের শীঘ্রই কাজে যোগ দেবেন। তিনি এলেই ওই বিভাগ আবার চালু করা যাবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE