শিশুদের উপরের চোয়ালে প্রথম দাঁত ওঠার পরেই তাদের বিয়ের জন্য কুকুরের সন্ধান শুরু করা হয়। প্রতীকী ছবি।
শরীর থেকে ভূত তাড়াতে ওড়িশার বালাসোর জেলায় এক নাবালক ও এক নাবালিকার বিয়ে দেওয়া হয় কুকুরের সঙ্গে। দারি সিংহের ছেলে ১১ বছরের তপন সিংহের বিয়ে দেওয়া হয় মহিলা কুকুরের সঙ্গে। ৭ বছর বয়সি লক্ষ্মীর বিয়ে হয় একটি পুরুষ কুকুরের সঙ্গে। স্থানীয় সংস্কার অনুযায়ী, কুকুরের সঙ্গে বিয়ে হলেই নকি দুষ্ট আত্মার কবল থেকে রেহাই পাবেন তাঁরা। বাদশাহি গ্রামের সিংহরা ‘হো’ জনজাতির অন্তর্ভুক্ত।
ওই অঞ্চলে শিশুদের উপরের চোয়ালে প্রথম দাঁত ওঠার পরেই তাদের বিয়ের জন্য কুকুরের সন্ধান শুরু করা হয়। জনজাতির বিশ্বাস, শিশুর উপরের চোয়ালে প্রথম দাঁত বেরোনোর সময়টা খুব শুভ। সকাল ৭ টা থেকে দুপুর ১ টা পর্যন্ত চলে বিয়ের নানাবিধ নিয়মরীতি। তার সঙ্গে থাকে ভোজের আয়োজনও।
হো জনজাতির বিশ্বাস, কুকুরের সঙ্গে বিয়ে হলে নাবালক-নাবালিকার মধ্যে যদি কোনও শুভ আত্মা থাকে, তা কুকুরের শরীরে চলে যায়। সেই জন্যেই ধুমধাম করে করা হয় বিয়ের আয়োজন। প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে হো জনজাতির মানুষ এখনও এই নিয়ম পালন করে চলেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy