Advertisement
২৭ এপ্রিল ২০২৪
Greenery

ভাল থাকার নতুন দাওয়াই গ্রিন থেরাপি, সবুজই বদলে দেবে প্রতিদিনের জীবন

ভারতীয়রা মোটেই খুশি নন, এমনই বলছে রাষ্ট্রপুঞ্জের হ্যাপিনেস ইনডেক্স। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ভারতের অবস্থান ১৪৭ নম্বরে। আমরা পিছিয়ে আছি বাংলাদেশ এমনকি, পাকিস্তানের থেকেও

মন ভাল রাখবে সবুজ পরিবেশ।

মন ভাল রাখবে সবুজ পরিবেশ।

নিজস্ব প্রতিবেদন
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৯ মার্চ ২০১৯ ১৪:২৪
Share: Save:

ভারতীয়রা মোটেই খুশি নন, এমনই বলছে রাষ্ট্রপুঞ্জের হ্যাপিনেস ইনডেক্স। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ভারতের অবস্থান ১৪৭ নম্বরে। আমরা পিছিয়ে আছি বাংলাদেশ এমনকি, পাকিস্তানের থেকেও। দিনযাপনের গ্লানি ধীরে ধীরে বিষিয়ে দিচ্ছে ভারতীয় মন। কী করলে একটু ভাল থাকা যাবে, স্ট্রেস মুক্ত জীবন কাটানো যাবে, এই ভেবে দিশেহারা হচ্ছেন যাঁরা, তাঁদের জন্য অব্যর্থ হয়ে উঠতে পারে গ্রিন থেরাপি।

গ্রিন থেরাপি কী?

মনোবিদরা বলছেন, যত বেশি প্রকৃতির থেকে দূরে সরে যাচ্ছে মানুষ, ততই বাড়ছে স্ট্রেস, মানসিক অবসাদ। গ্রিন থেরাপি হল সচেতন ভাবে সবুজের হাতছানিতে সাড়া দেওয়া। যতটা সম্ভব সজীব গাছপালার মধ্যে থাকা।

কিন্তু চাইলেই তো আর বাড়ির পাশে সবুজ গালিচা ঢাকা পার্ক, শিশির ভেজা মাঠ পাওয়া যাবে না। আর সব কিছু ছেড়ে যাব বলে বনেও চলে যাওয়া যায় না।

তবে খুব সামান্য মেহনতেই নিজের চারপাশটাকে সবুজাভ করে ফেলা যায়। দশটা পাঁচটার জীবনে গ্রিন থেরাপি এনে দেবে তরতাজা অনুভূতি।

আরও পড়ুন: চামড়ার জিনিস অল্প ব্যবহারেই পুরনো দেখাচ্ছে? কী ভাবে ঝাঁ চকচকে করবেন?

গ্রিন থেরাপির প্রথম পাঠ

বেশির ভাগ মধ্যবিত্তই আজ ফ্ল্যাটবাড়ির সামান্য জায়গায়তেই মানিয়ে গুছিয়ে নিয়েছেন। গ্রিন থেরাপির শুরুতেই নিজের সামান্য জায়গার মধ্যেই গ্রিন জোন তৈরির পরিকল্পনা করে ফেলুন। সেই গ্রিন জোনে সুবিধে মতো বসান শৌখিন টব। চাকরিজীবীরা এমন গাছ লাগান যাকে খুব বেশি যত্ন করতে হয় না।

লাগানো যেতে পারে নানা প্রজাতির পাম গাছ। পাম গাছ রোদ চায় না। ঘরের আলো আঁধারি কোণে এই গাছ রাখা যেতে পারে। ব্যবহার করতে পারেন এরিকা পাম।

আরও পড়ুন: বাড়ছে গরম, কেমন সানগ্লাস কিনলে বাঁচবে ত্বক ও চোখ?

সাকুলেন্টে জল কম লাগে। সপ্তাহে একদিন জল দিলেই চলে। পড়ার টেবিলের পাশে বা অফিস ডেস্কে সাক্যুলেন্ট বসাতে পারেন সুদৃশ্য পাত্রে।

বাড়ির বাথরুমে রাখুন চাইনিজ বাঁশ গাছ বা অ্যালোভেরা।

মানি প্ল্যান্ট, পিস লিলি এই গাছগুলি বাতাসকে পরিশ্রুত করে। প্রায় বিনা যত্নে বড় হয় এই গাছগুলি। নিজের আনাচেকানাচে এই গাছ বসাতেই পারেন।

আধুনিক মনোবিদরা বলছেন, পারিপার্শ্বিক চাপের কারণেই মানুষ ডিরেক্ট অ্যাটেনশন ফ্যাটিগে ভুগছেন। ডিরেক্ট অ্যাটেনশন ফ্যাটিগ হল কোনও শারীরিক অসুবিধে ছাড়াই উদ্বেগে ভোগার সমস্যা। যখন তখন নানা কিছু ভুলে যাওয়াও এই রোগেরই একটি উপসর্গ। গ্রিন থেরাপি এই রোগের শুশ্রুষা হয়ে উঠতে পারে। গ্রিন থেরাপি অ্যাংজাইটি দূর করতে সাহায্য করে। হাইপার অ্যাক্টিভিটি ডিজঅর্ডারেও দাওয়াই হিসেবও গ্রিন থেরাপির নিদান দিচ্ছেন অনেক মনোচিকিৎসক। সব থেকে বড় কথা, গাছ লাগানো থেকে তার পরিচর্যা, কেউ একা করেন না। গাছ করার সময় পরামর্শ দেওয়া নেওয়ার জন্যে অনেকেই সঙ্গী বেছে নেন। গ্রিন থেরাপি সহজেই সামাজিক মেলামেশার পরিসর তৈরি করতে পারে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE