অনুপম রায় এবং প্রস্মিতা পাল। ছবি: সংগৃহীত।
সুরে সুরে তাঁদের প্রেম। গান একসঙ্গে বেঁধেছে দু’জনকে। এ বছর মার্চের এক সন্ধ্যায় তাই চার হাত এক হয়েছিল। বিয়ের এটাই প্রথম পুজো। অথচ উৎসবের সময় একসঙ্গে কাটাতে পারলেন না অনুপম রায় এবং প্রস্মিতা পাল। দু’জন দু’প্রান্তে। গানের অনুষ্ঠান করতে প্রস্মিতা পাড়ি দিয়েছেন সুদূর আমেরিকায়। অনুপমের গন্তব্য মুম্বই। তাই পুজোর সাজ নিয়েও বিশেষ পরিকল্পনা করেননি প্রস্মিতা। নতুন পোশাক কেনেননি, এমন নয়। তবে গানের অনুষ্ঠানে পরার জন্য মানানসই পোশাক কিনেছেন। আলাদা করে পুজোর কেনাকাটা করেননি গায়িকা। গান গাইতে এ বার প্রথম বিদেশ-সফর। তাই মনে মনে উত্তেজনা একটা আছে। পুজোয় কলকাতায় থাকলে কি সাজগোজের অন্য রকম পরিকল্পনা করতেন তিনি? প্রস্মিতা বলেন, ‘‘তেমন কোনও বিষয় নয়। আমি এমনিতেই খুব কম সাজগোজ করি। যেটুকু না করলেই নয়, ব্যস ওইটুকুই। পুজোয় কোনও দিন সাজ নিয়ে তেমন ভাবনা ছিল না। পুজোয় বিদেশ যাওয়ার প্রস্তুতি শুরু করেছিলাম গত বছর ডিসেম্বর থেকে। তাই খুব মসৃণ ভাবেই সব কিছু হয়েছে।’’
পুজোর সময় বাঙালি নারীর অঙ্গে শাড়ি উঠবে না, তা তো হতে পারে না। বিদেশেও তাই প্রস্মিতার সঙ্গী হয়েছে শাড়ি। মায়ের দেওয়া ঢাকাই শাড়িটি মনে করে ট্রলিতে ভরে নিয়েছেন গায়িকা। প্রস্মিতার ইচ্ছা অষ্টমীর দিন ঢাকাই পরে অঞ্জলি দেবেন।
বিয়ের পর সম্পর্কের রং আরও খানিকটা গাঢ় হয়। উৎসবের দিনগুলি তখন আরও বেশি রঙিন হয়ে ওঠে। তবে অনুপম এবং প্রস্মিতার ক্ষেত্রে বিষয়টি তেমন নয়। জানালেন গায়িকা। দু’জনেই মঞ্চের মানুষ। গান তাঁদের প্রথম প্রেম। তাই উৎসবের সময় প্রথম প্রেমের কাছাকাছি থাকতে পেরে খুশি প্রস্মিতা। তিনি বলেন, ‘‘অনুপমও পুজোয় গানের শো থাকলে খুশি হয়।’’
উৎসবের সময় ভৌগোলিক দূরত্বে দু’জন আলাদা থেকেও খুশি থাকার চেষ্টা করে চলেছেন। পুজো না হয় একসঙ্গে কাটানো হল না, উপহারের বিনিময় তো নিশ্চয়ই হয়েছে? প্রস্মিতার উত্তর, ‘‘পুজোয় আমরা একে-অপরকে আলাদা করে কিছু কিনে দিইনি। সারা বছরই কিছু না কিছু দিতেই থাকি। পুজো বলে নতুন একটা পোশাক কিনে দিতে হবে, এমন তো কোনও নিয়ম নেই।’’ ভালবাসার সুতোয় বোনা নতুন পোশাকে সাজবেন না প্রস্মিতা-অনুপম। তবু উৎসবে আলাদা থেকেও একে-অপরের সঙ্গে বেঁধে রয়েছেন দু’জনে। সেই সুতোর বাঁধন অদৃশ্য থাকুক, সেটাই চান প্রস্মিতা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy