পর্যাপ্ত শিক্ষক-অধ্যাপক এবং পরিকাঠামোর অভাবের জন্য উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ১৫০ আসনে ভর্তির অনুমোদন এখনও অনিশ্চিত হয়ে রয়েছে। কিছু দিনের মধ্যেই নতুন শিক্ষাবর্ষে ভর্তির প্রক্রিয়া শুরু হবে। কিন্তু এখনও এই মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মেডিক্যাল কাউন্সিলর অব ইন্ডিয়া (এমসিআই)-এর তরফে ১৫০ আসনের অনুমোদন অনুমোদন না মেলায় উদ্বিগ্ন কলেজ কতৃর্পক্ষ থেকে ছাত্রছাত্রীদের একাংশ। এই পরিস্থিতিতেই শারীরিক অসুস্থতার জেরে হাসপাতাল সুপার তথা সহ-অধ্যক্ষের পদ থেকে সব্যসাচী দাস সরতে চেয়েছেন। শ্বাসকষ্ট এবং উচ্চ রক্তচাপের কারণে অসুস্থ হয়ে বর্তমানে তিনি কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে গত কয়েকদিন ধরেই ভর্তি রয়েছেন।
দেড়শো আসনের অনুমোদন না মিললে আগের যে দুটি শিক্ষাবর্ষে ১৫০ আসনে ছাত্রছাত্রীরা ভর্তি হয়েছেন কলেজ থেকে ডাক্তারি পাশ করার পরেও তাঁরা যথাযথ শংসাপত্র পাবেন না। রাজ্যের বাইরে অন্যত্র চিকিৎসক হিসাবে কাজ করতে পারবেন না। পরে এমসিআই ১৫০ আসনের অনুমোদন দিলে তখন তাঁরা শংসাপত্র (রেট্রস্পেক্টিভ রেকগনেশন) পাবেন। সেই অপেক্ষায় থাকতে হবে। ছাত্রছাত্রীদের একাংশের উদ্বিগ্ন হওয়ার কারণ তা নিয়েই।
উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ সমীর ঘোষ রায় বলেন, ‘‘নতুন শিক্ষাবর্ষ থেকে ১৫০ আসনে ছাত্রছাত্রী ভর্তি নেওয়ার অনুমোদন মিলবে কি না এমসিআই এখনও তা আমাদের জানায়নি। মনে হচ্ছে এমসিআই-এর নির্দেশ মতো ‘হেল্থ ইউনিভার্সিটি’ এবং স্বাস্থ্য শিক্ষা দফতর থেকে কলেজগুলিতে ভর্তির বিজ্ঞপ্তি যখন দেওয়া হবে তখনই বিষয়টি পরিষ্কার হবে। দেখা যাক কী হয়। এমসিআই পরিষ্কার করে কিছি না জানানো পর্যন্ত আশঙ্কা তো একটা রয়েইছে।’’ অভিজ্ঞতা থেকেই সমীরবাবু জানান, তাঁরা উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের প্রথমবর্ষের ছাত্র ছিলেন। শুরুতে সে সময় এমসিআই অনুমোদন পেতে দেরি হয়েছিল। সে কারণে ৩ বছর বাদে তারা শংসাপত্র পেয়েছিলেন।