প্রতীকী ছবি।
দু’টি ফুসফুসের একটি বাদ পড়েছিল ছোটবেলাতেই। অন্য ফুসফুসটি এ বার আক্রান্ত হয়েছিল করোনাভাইরাসে। সেই সংক্রমণকেও হারিয়ে দিলেন মধ্যপ্রদেশের ৩৯ বছরের প্রফুলিত পিটার। পেশায় নার্স। তাঁর মতে, যোগাসন এবং প্রাণায়মেই তিনি হারিয়েছেন করোনাকে।
ছোটবেলায় এক দুর্ঘটনায় পড়েন প্রফুলিত। একটি ফুসফুস বাদ দিতে হয় তখনই। যদিও নিজে জানতেন না সে কথা। ২০১৪ সালে ফুসফুসের এক্স রে করাতে গিয়ে টের পান। পেশায় নার্স প্রফুলিত মধ্যপ্রদেশের তিকমগড় সিভিল হাসপাতালের সঙ্গে যুক্ত। দেশে করোনা সংক্রমণের গোড়া থেকেই কাজ করছেন কোভিড বিভাগে। আর সেখান থেকেই সংক্রমিত হয়েছিলেন তিনি। বাড়িতে ১৪ দিন থেকেই সেই সংক্রমণ কাটিয়ে উঠেছেন প্রফুলিত। কী ভাবে মোকাবিলা করলেন সংক্রমণের? তাঁর কথায়, নিয়মিত যোগাসন, প্রাণায়ম এবং শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম করে গিয়েছেন।
এই ধরনের ব্যায়াম করোনা সংক্রমণ সামলাতে কতটা কাজের? ফুসফুসের চিকিৎসক সৌম্য দাসের মতে, জোরে শ্বাস নিয়ে ধরে রাখার মতো ব্যায়াম এই সময় খুবই কাজে লাগতে পারে। ‘‘প্রোনিংয়ের কথা তো এখন অনেকেই বলছেন। এ ছাড়াও যোগাসনের মধ্যে যেগুলি শ্বাসের ব্যায়াম, সেগুলিও খুব কাজের।’’
একটি ফুসফুস নিয়ে করোনা মোকাবিলা করাই বা কতটা কঠিন? ভবিষ্যতে কোনও সমস্যা হতে পারে কি? সৌম্যর বক্তব্য, সংক্রমণ সেরে যাওয়ার পর ধীরে ধীরে ফুসফুস আগের অবস্থায় ফিরে আসে। সৌম্যর কথায়, ‘‘আমি যত জন রোগীকে দেখেছি, তাঁদের মধ্যে ৯০ শতাংশ ক্ষেত্রেই সেরে যাওয়ার পর ফুসফুস ধীরে ধীরে আগের জায়গায় ফিরে গিয়েছে।’’ কেউ যদি দীর্ঘ দিন ধরে একটি ফুসফুস নিয়েই স্বাভাবিক জীবনযাপন করেন, তা হলে তাঁর আলাদা করে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। বাকিদেরও যেমন স্বাস্থ্যবিধি মেনে সাবধানে থাকতে হয়, এই আক্রান্তকেও তাই করতে হবে। এমনই পরামর্শ চিকিৎসকের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy