Advertisement
E-Paper

অমৃত পিঠে, বাদাম পিঠের স্বাদে জমেছে শীত-সন্ধ্যা

কাঁথি পুরসভার উদ্যোগে রবিবার সপ্তম এই পিঠে-পুলি মেলার উদ্বোধন করেন সাংসদ শিশির অধিকারী।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২১ জানুয়ারি ২০১৯ ০১:২৪
মেলায় চলছে পিঠে-পুলির বেচাকেনা। রবিবার। নিজস্ব চিত্র

মেলায় চলছে পিঠে-পুলির বেচাকেনা। রবিবার। নিজস্ব চিত্র

গ্রাম বাংলার পিঠে-পুলির ঐতিহ্য প্রায় হারাতে বসেছে। রসপিঠে, ক্ষীরপিঠে সহ হরেক স্বাদের পিঠের সঙ্গে পরিচয় করাতে এবং সেইসঙ্গে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের রোজগারের উপায় করতে কাঁথিতে শুরু হল পিঠেপুলি মেলা। স্বনির্ভর গোষ্ঠীর প্রায় তিন হাজার মহিলা তাঁদের হাতে তৈরি নানা রকেম পিঠে ও পায়েসের পসরা নিয়ে মেলায় হাজির। চিরাচরিত পাটিসাপটা, ক্ষীরপুলি, গোকুল পিঠের পাশাপাশি রয়েছে অমৃতপীঠে, বাদাম পিঠে, চকলেট পিঠে-সহ জানা-অজানা জিভে জল আনা রকমারি পিঠে।

কাঁথি পুরসভার উদ্যোগে রবিবার সপ্তম এই পিঠে-পুলি মেলার উদ্বোধন করেন সাংসদ শিশির অধিকারী। তিনি বলেন, “শীত জাঁকিয়ে পড়েছে। আর শীত এলেই পিঠে -পুলির কথা যেন বেশি করে মনে পড়ে বাংলা ও বাঙালির। সেই ঐতিহ্যকে রক্ষা করতে ও হারিয়ে যাওয়া পিঠে-পুলির সংস্কৃতিকে ফিরিয়ে আনতে এমন মেলার আয়োজন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক বনশ্রী মাইতি। মেলা চলবে ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত।

এদিন মেলায় পিঠে বানিয়ে নিয়ে আসা মুনমুন মাইতি বলেন, “আজও বাঙালির ঘরে ঘরে পিঠের আদর রয়েছে। তবে কাজু বাদামের গুঁড়ো দিয়ে নতুন করে ‘বাদাম পিঠে’ বানিয়ে এনেছিলাম। সবটাই বিক্রি হয়ে গিয়েছে।’’ মেলায় ঘুরতে আসা দেবলীনা বিশ্বাসের কথায়, ‘‘আগে তো এত পিঠের নামই জানা ছিল না। এখানে এসে জানলাম। চাল, ময়দা ছাড়াও যে নানা রকমের জিনিস দিয়ে পিঠে বানানো যায় সেই অভিজ্ঞতাও হল।’’ আর এক দর্শক সুমনা দাস বলেন, “এখানে পিঠের দাম আয়ত্বের মধ্যেই। তাই কয়েক রকম পিঠে কিনে খেয়েছি। স্বাদ অপূর্ব। উদ্যোক্তাদের ধন্যবাদ।’’

কাঁথি পুরসভার চেয়ারম্যান সৌমেন্দু অধিকারী বলেন, “স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের উৎসাহিত করার জন্যই এমন মেলার আয়োজন করা হয়। এর ফলে তাঁদের উপার্জনেরও একটা উপায় হয়।’’

Self-help Group Women Money
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy