Advertisement
E-Paper

শীতের দিনে সারমেয়কে স্নান করাবেন, ৫ বিষয় মাথায় রাখা জরুরি

শীতের মরসুমেও পোষ্যের স্নান জরুরি। কুকুরের গায়ে অনেক সময় সংক্রমণ ঘটে। তা ছাড়া পরিচ্ছন্নতার দিকে নজর দিয়েও স্নান করানো দরকার। সারমেয়কে স্নান করাতে গেলে কী কী মাথায় রাখবেন?

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৮ জানুয়ারি ২০২৫ ১৯:১৩
শীতের দিনে পোষ্যকে স্নান করানোর আগে মাথায় রাখা দরকার কয়েকটি বিষয়।

শীতের দিনে পোষ্যকে স্নান করানোর আগে মাথায় রাখা দরকার কয়েকটি বিষয়। ছবি:ফ্রিপিক।

গরমের সময়ে পোষ্যকে স্নান করালে সে কিছুটা স্বস্তি পায়। তবে শীতের দিনে স্বস্তির জন্য না হোক, পরিচ্ছন্নতার দিকে নজর রেখে সারমেয়কে স্নান করানো জরুরি। অন্তত মাসে একটি দিন। পোষ্য কুকুরের শরীরের অনেক সময় বিশ্রী গন্ধ হয়, তা ছাড়া তাদের লোমে ময়লা, নোংরা লেগে যায়। পশু চিকিৎসকেরা বলছেন, কুকুরের শরীরে ব্যাক্টেরিয়া এবং ছত্রাকজনিত সংক্রমণ হয়। তাই স্বাস্থ্যের কথা ভেবেই শীতের মরসুমে পোষ্যকে স্নান করানো জরুরি। কিন্তু পোষ্যকে স্নান করাতে গেলে সুবিধা-অসুবিধা দু’টি দিকই থাকে। সারমেয়র জন্য কোনটি ভাল, কোনটি মন্দ, জলের তাপমাত্রা কতটা হওয়া বাঞ্ছনীয়, সে সব কিন্তু জানা দরকার। না হলে সারমেয়র অসুস্থ হয়ে পড়ার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যায় না।

১. বিভিন্ন প্রজাতির সারমেয়র আকৃতি, লোমের ঘনত্ব, দৈর্ঘ্য ভিন্ন। পোষ্যের লোম যদি ঘন, লম্বা হয় তা হলে স্নানের আগে চিরুনি দিয়ে আঁচড়ে নিন। না হলে স্নানের পর লোমে জট পাকিয়ে যাবে, আঁচড়াতে অসুবিধা হতে পারে।

২. ছোট কুকুর হলে বেসিন বা ছোট গামলায় স্নান করানো যায়। কিন্তু আকারে বড় হলে স্নানঘরে হ্যান্ড শাওয়ারে স্নান করানোই সুবিধাজনক। তবে মেঝে বেশি পিচ্ছিল হলে, হড়কে যায় না, এমন রাগ সেখানে বিছিয়ে দিন। কারণ, সাবান এবং জলের ব্যবহারে স্নানঘরের মেঝে পিচ্ছিল হয়ে গেলে পোষ্য পা হড়কে পড়ে যেতে পারে।

৩. সঠিক শ্যাম্পু এবং কন্ডিশনার বাছাই খুব জরুরি। মানুষের যেমন বিভিন্ন রাসায়নিক এবং উপাদানে অ্যালার্জি থাকে, কুকুরেরও থাকতে পারে। তেমন কোনও উপাদান শ্যাম্পুতে থাকলে পোষ্য অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে। গায়ে সরাসরি শ্যাম্পু ব্যবহার না করে জলে গুলে তা পোষ্যের শরীরে ব্যবহার করুন। স্নানের পর কন্ডিশনার ব্যবহার জরুরি। এতে তাদের লোম মসৃণ ও সুন্দর থাকবে।

৪. সারমেয়র শরীরের তাপমাত্রা মানুষের চেয়ে একটু বেশি হয়। তাই তার জন্য জল গরম হওয়া জরুরি। তবে, তা যেন ফুটন্ত গরম না হয়। পোষ্যকে স্নান করানোর আগে হাত দিয়ে দেখে নেওয়া দরকার, জলের তাপমাত্রা কী রকম রয়েছে। হিমশীতল জলে পোষ্যকে স্নান করালে তার ঠান্ডা লেগে যেতে পারে।

৫. স্নানের সময় আলদা ভাবে থাবা, কান পরিষ্কার করা দরকার। অনেক সারমেয় মুখে জল দিলে অস্বস্তি বোধ করে। সে ক্ষেত্রে কুকুরের মুখ ভিজে তোয়ালে দিয়ে মুছিয়ে দেওয়া যেতে পারে। স্নানের পরেই কুকুরের শরীর তোয়ালে দিয়ে মুছিয়ে দেওয়া জরুরি।

Dog Bathing Tips Bathing Tips Pet
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy