মা-বাবার সঙ্গে গোয়া-সফর সারল ছোট্ট দেবী। আড়াই বছরের একরত্তির সঙ্গে সময় কাটানোর জন্য সময় বার করেছেন বিপাশা বসু এবং করণ সিংহ গ্রোভার। তারকা দম্পতির পোস্ট করা ভিডিয়ো দেখে এ কথা স্পষ্ট, দেবীই সে সফরের মধ্যমণি। ঘরে, বাইরে মেয়ের আনন্দঘ্মন মুহূর্তগুলিকেই ফ্রেমবন্দি করেছেন ‘রেস’ খ্যাত অভিনেত্রী। মেয়ের সঙ্গে বিপাশা এবং করণের এই ভিডিয়ো আসলে প্রত্যেক বাবা-মায়ের জন্য শিক্ষণীয়, যাঁদের সন্তানেরা এখনও ছোট।
টলমল পায়ে দেবীর ঘাসে দৌড়ে বেড়ানো, রিসর্টের অভ্যর্থনায় স্থানীয় সংস্কৃতির ছোঁয়া পাওয়া, স্যুইমিং পুলে নামা, সমুদ্রের ধার দিয়ে হেঁটে বেড়ানো, হাঁসের চরতে দেখা, ইত্যাদি সমস্ত ছোট মুহূর্তের মাঝেই ইতিবাচক পরিবেশের আভাস মিলেছে।
বিপাশা-করণের এই উদ্যোগ কী কী কারণে শিক্ষণীয় হয়ে উঠেছে?
প্রকৃতির সঙ্গে মেলামেশা: মাটি, জল, হাওয়ার সঙ্গে পরিচিত হচ্ছে দেবী। জলের মধ্যে হাঁসের সাঁতার কাটা থেকে সমুদ্রের হাওয়ায় গাছের পাতা নড়া, এ সবই মানসিক ইতিবাচকতার জন্য প্রয়োজন। বিপাশা ও করণ তাঁদের মেয়েকে আটকে না রেখে খোলা আকাশের নীচে ছেড়ে দিয়েছেন। ফলে প্রকৃতির সঙ্গে মেলামেশা করার সুযোগ পাচ্ছে একরত্তি।

প্রকৃতির সঙ্গে মেলামেশা করার সুযোগ পাচ্ছে একরত্তি। ছবি: সংগৃহীত।
বাবা-মায়ের সঙ্গে জোরালো সম্পর্ক: ঘরের মধ্যে বাবা-মাকে একই রূপে রোজ দেখা আর প্রকৃতির মাঝে মা-বাবার সঙ্গে খেলে বেড়ানোর পার্থক্য রয়েছে। আর বেড়াতে যাওয়া মানে বাবা-মায়ের মাথাতেও দুশ্চিন্তা বা কাজের চাপ কম। সে রকম সময়ে সন্তানের সঙ্গে খোলা মনে মিশতে পারেন তাঁরা। তাতে পরিবারে ইতিবাচকতা আসে।
আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি: নতুন জায়গা, নতুন পরিবেশ। বলা ভাল, অচেনা জায়গা, অচেনা পরিবেশ। সেখানে নিজেদের সন্তানকে বিনা বাধায় খেলতে দিয়েছেন করণ এবং বিপাশা। এতে সন্তানের মনে নিজের প্রতি বিশ্বাস বাড়ে।

নিজেদের সন্তানকে বিনা বাধায় খেলতে দিয়েছেন করণ এবং বিপাশা। ছবি: সংগৃহীত।
উৎকণ্ঠা-উদ্বেগ থেকে রেহাই: বাবা-মা ও সন্তান, দুই ক্ষেত্রেই এমন বাঁধনছাড়া সফর খুব দরকার। মাঝে মধ্যে চেনা ভিড়ভাট্টা ছেড়ে শহরের বাইরে চলে গেলে প্রকৃতির মাঝে সময় কাটানো উচিত। এতে দুশ্চিন্তাভরা জীবন থেকে কিছু দিনের বিরতি মেলে। ফলে মন ও মেজাজও সমস্যার সঙ্গে মোকাবিলা করার মাঝে ছুটি পায়। যা তাদের স্বাস্থ্যের জন্য প্রয়োজনীয়।

বাবা-মা ও সন্তান, দুই ক্ষেত্রেই এমন বাঁধনছাড়া সফর খুব দরকার। ছবি: সংগৃহীত।
সামাজিক পরিবেশে স্বচ্ছন্দ হওয়া: নতুন জায়গায় নতুন নতুন মানুষের সঙ্গে দেখা হওয়া, নতুন অভিজ্ঞতা হওয়া, এ সব দেবীর মতো ছোট শিশুদের ব্যক্তিত্ব গঠনের জন্য দরকারি। সামাজিক পরিসরে কী ভাবে মিশতে হয়, গান-বাজনা হলে কী রকম প্রতিক্রিয়া দিতে হয়, সব কিছুর জন্য প্রস্তুত হতে পারে ছোটরা।
এ রকম মুহূর্তগুলিই শৈশবকে তৈরি করবে। বড় হওয়ার পর সুন্দর মুহূর্ত মনে করতে হলে বাবা-মায়ের সঙ্গে কাটানো সময়টাই তার সম্বল হয়ে উঠবে।