সন্তানের উপর রাগ হলে কী ভাবে সামলাবেন নিজেকে? ছবি: শাটারস্টক।
সন্তান সামলানো সহজ নয়। সহজ নয় অনুভূতি নিয়ন্ত্রণ করাও। সন্তান খুব বেশি দুষ্টুমি করলে কখনও কখনও বাবা-মায়ের পক্ষে রাগ নিয়ন্ত্রণ করা খুবই কঠিন হয়ে পড়ে। অনেক সময়ে রাগ ও জেদের বশে সন্তানকে বাবা-মায়েরা এমন কথা বলে বসেন, যাতে ক্ষতি হতে পারে সন্তানেরই। এই মানসিক টানাপড়েন কী ভাবে সামলাবেন অভিভাবকেরা? সন্তানের উপর রাগ হলে তা নিয়ন্ত্রণের ৫ উপায় জেনে রাখুন।
১. সন্তান চঞ্চল হলে অভিভাবকদের ধৈর্য ধরা জরুরি। কথায় কথায় সন্তানকে বকাবকি করা চলবে না। সন্তান রাগ করার মতো কিছু করলেও, পরিস্থিতি সামলাতে হবে আপনাকেই। বকাবকি করলে সমস্যা আরও জটিল হয়ে যেতে পারে। সেই সময় খুদের সঙ্গে কোনও কথা না হলে নিজেকে শান্ত করার পর কথা বলুন ওর সঙ্গে।
২. অনেক সময়েই সন্তান কোনও ভুল কাজ করলে বা দুষ্টুমি করলে, সে কেন সেই কাজ করেছে তা জানার আগেই বাবা-মা বকাবকি করতে শুরু করেন। বাবা-মাকে সবার আগে সন্তানের কথা শুনতে হবে। শিশুদের যুক্তিবোধ বড়দের মতো না হওয়াই স্বাভাবিক। তাই তাদের পক্ষে সব কিছু বুঝিয়ে বলা শক্ত। সন্তান কিছু বলতে চাইলে, তাকে ধীরে ধীরে বুঝিয়ে বলার সুযোগ দিন। অল্প অল্প করে বললেও রাগ, দুঃখ, অভিমানের সব কথা শুনুন মন দিয়ে।
৩. সংবেদনশীলতাই আসল চাবিকাঠি। বোঝার চেষ্টা করুন, কেন রাগ করার মতো কাজ করছে সন্তান। কোন কোন বিষয়ে হঠাৎ এমন কাজ করতে প্রবৃত্ত হয় সন্তান, সে বিষয়গুলি বোঝার চেষ্টা করুন। এই বিষয়গুলিকে ‘ট্রিগার পয়েন্ট’ বলা হয়। সন্তান অবুঝ হলেও বাবা-মা অস্থির হলে চলবে না। পাশাপাশি, সন্তানকেও দিতে হবে সহানুভুতির শিক্ষা।
৪. অনেক সময়ে ঝক্কি এড়াতে সন্তানের অন্যায় আবদার মেনে নেন বাবা-মা। কিন্তু এতে সমস্যা বাড়ে, কমে না। কাজেই অযথা সন্তানের অন্যায় আবদারে প্রশ্রয় নয়। সন্তানের রাগ ও দুর্ব্যবহারও মেনে নেবেন না। শান্ত হয়ে, ধীরে ধীরে বোঝান সন্তানকে।
৫. বাবা-মায়ের দৈনন্দিন আচার ব্যবহারের ছাপ অনেক সময়ে সরাসরি সন্তানের উপর পড়ে। কাজেই অভিভাবক যদি বদমেজাজি হন, তবে তার প্রভাব পড়তে পারে সন্তানের উপরেও। ফলে বাবা-মাকেই হতে হবে উদাহরণ। বিশেষত বাবা-মায়ের পারস্পরিক সম্পর্কের টানাপড়েনের আঁচ সন্তানের উপর পড়লে তার প্রভাব হয় দীর্ঘস্থায়ী। কাজেই সন্তানের সামনে নিজেদের মধ্যেও ঝগড়া না করাই ভাল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy