অনেক শিশুই হলে রাতে শোয়ার পর পায়ে ব্যথা হয়। বেশি খেললে বা ছোটাছুটি করলে ব্যথা বাড়তে পারে। একে বলা হয় ‘গ্রোথ পেন’। একটা বয়সের পরে ব্যথা চলেও যায়। সাধারণত সন্ধের দিকে দু’পায়ে ব্যথা হলে গ্রোথ পেন বলে ধরে নেওয়া হয়। অনেক দিন ধরে সেই ব্যথা না কমলে চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। তবে যদি ব্যথা মাঝেমধ্যে হয়, তা হলে ঘরোয়া উপায়েই ব্যথা কমানোর চেষ্টা করা যেতে পারে। অভিভাবকেরা কী করবেন জেনে নিন।
‘গ্রোথ পেন’ পায়ের পেশিতেই বেশি হয়। তা ছাড়া ঊরু ও হাঁটুর পিছনের অংশেও শিরায় টান ধরার মতো ব্যথা হতে পারে। তাই রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে পায়ের ব্যায়াম বা লেগ স্ট্রেচ করার মতো কিছু ব্যায়াম করলে ভাল। আর না হলে তেল মালিশ করতে পারেন। রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে শিশুর দুই পায়ে ভাল করে তেল মালিশ করে দিলে, ব্যথা থেকে অনেকটাই আরাম পাওয়া যাবে। এতে পেশির শক্তি বাড়বে, রক্ত সঞ্চালনও ভাল হবে। পায়ে তেল মালিশ করার কথা বললে, সর্ষের তেলের কথাই আগে মাথায় আসে। তবে এ ক্ষেত্রে কেবল সর্ষের তেল দিয়ে মালিশ করলে হবে না, মেশাতে হবে আরও একটি তেল।
আরও পড়ুন:
কোন কোন তেল মিশিয়ে শিশুর পায়ে মালিশ করবেন?
পাঁচ চা চামচ সর্ষের তেলের সঙ্গে কয়েক ফোঁটা ম্যাগনেশিয়াম অয়েল মিশিয়ে নিতে হবে। ম্যাগনেশিয়াম অয়েল দোকানে কিনতে পাওয়া যায়। দু’টি তেল মিশিয়ে ঊরু, হাঁটু, পায়ের পাতায় ১০ মিনিট ধরে মালিশ করতে হবে। গোড়ালিতেও তেল মালিশ করে দেবেন।
কী উপকার হবে?
সর্ষের তেলে রয়েছে ভিটামিন এ, বি কমপ্লেক্স এবং ই। এই তেল যেমন ত্বককে সতেজ ও টানটান করে, তেমনই পেশির ব্যথা কমাতেও সাহায্য করে। গাঁটে গাঁটে ব্যথা, হাঁটুর ব্যথা হলেও সর্ষের তেল মালিশ করলে উপকার পাওয়া যাবে।
ম্যাগনেশিয়াম অয়েলের অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি গুণ রয়েছে। এই তেল প্রদাহ কমাতে পারে। ত্বকে মালিশ করলে, পেশির ক্লান্তি দূর হয়, ফলে ব্যথাবেদনাও কমে যায়।