১। অতিভক্তি কিসের লক্ষণ?
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বহু ক্ষেত্রেই দেখা যায় যে পরকীয়ায় জড়িত পুরুষ বা নারীরা নিজের কীর্তি ঢাকা দেওয়ার জন্য সঙ্গীর কাছে অতিরিক্ত সৎ সাজার চেষ্টা করেন। ফলে সঙ্গী তাঁদের চোখ বুজে বিশ্বাস করেন। আর সেই সুযোগেই নিজেদের কাজ করে চলেন তাঁরা।
২। বিস্তারিত বিবরণ এড়িয়ে যাওয়া
সত্য যতটা স্বতঃস্ফূর্ত হয়, মিথ্যা ততটা হয় না। তাই বানিয়ে বলা কোনও কথা বার বার একই ভাবে বলে যাওয়া কঠিন। তাই অনেক সময় পরকীয়ায় লিপ্ত মানুষরা নিজেদের কাজকর্মের বিস্তারিত বিবরণ এড়িয়ে চলেন। যত পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবরণ দেবেন, ততই বাড়বে ভুল করে কোনও বেফাঁস কথা বলে দেওয়ার আশঙ্কা।
৩। ঢাক পেটানোর জিনিস নয়
অনেক সময় খুব সামনে থাকা কারও সঙ্গেই সম্পর্কে জড়িয়ে যান মানুষ। তাই তাঁদের সেই সম্পর্কের কোনও রকম বহিঃপ্রকাশ থাকে না। অনেক সময় সঙ্গী চোখের সামনে পরকীয়া করলেও ধরতে পারেন না অনেকে।
৪। কাজের নামে
কর্মক্ষেত্রের গতি এখন অনেক বেড়ে গিয়েছে। তাই কাজের চাপও বেড়েছে অনেকটাই। কাজের জন্য দীর্ঘ ক্ষণ বাড়ির বাইরে থাকাও অস্বাভাবিক নয়। কেউ কেউ সেই সুযোগটাই নেন। কাজের আছিলায় সময় কাটান অন্য মানুষের সঙ্গে।
তবে মনে রাখতে হবে, পরকীয়ায় লিপ্ত কেউ কেউ করেন বলে সবাইকে সন্দেহের চোখে দেখা ঠিক নয়। হতেই পারে আপনার সঙ্গী কাজের বিষয় নিয়ে বাড়িতে কথা বলতে স্বচ্ছন্দ নন। কিংবা সত্যিই অফিসে কাজের চাপ এত বেশি যে, বাড়ির জন্য সময় বার করতে পারেন না। কাজেই গোটা বিষয়টিই দাঁড়িয়ে আছে পারস্পরিক সম্পর্ক, সম্মান ও ভরসার উপর। অনেক সময় সঙ্গীর অতিরিক্ত সন্দেহপ্রবণতাও কোনও ব্যক্তিকে অন্য মানুষের দিকে ঠেলে দিতে পারে। কাজেই নিজেদের সম্পর্ক কেমন, তা বুঝতে হবে নিজেদেরই। দরকার হলে যেতে হবে বিশেষজ্ঞের কাছে।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।