মানুষের মতো পোষ্য সারমেয়দের ক্ষেত্রেও দৈনন্দিন ডায়েট গুরুত্বপূর্ণ। সম্প্রতি একটি সমীক্ষায় দাবি করা হয়েছে, একাধিক দেশে পোষ্যেরা স্থূলত্বের শিকার। মনে রাখতে হবে, পোষ্যের অতিরিক্ত ওজন তার নানা রোগের কারণ হতে পারে। আবার পোষ্য যদি শীর্ণকায় রয়ে যায়, সেটাও বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে দেখা উচিত। তাই প্রতি দিন তাকে কতটা খাবার খেতে দেওয়া হচ্ছে, তা গুরুত্বপূর্ণ।
কেন খাবারে নিয়ন্ত্রণ
পোষ্যদের সাধারণত দিনে ২ থেকে ৩ বার খাবার খেতে দেওয়া হয়। খাবারের মাধ্যমেই পোষ্যেরা তাদের দেহের প্রয়োজনীয় পুষ্টিগুণ পেয়ে থাকে। তাই সঠিক পুষ্টির অভাবে তাদের শরীরের শক্তি কমে যেতে পারে। পোষ্য সর্বদা আলস্যের শিকার হতে পারে।
আবার পোষ্যের ওজন যদি বেশি হয়, তা হলে সে অস্থিসন্ধির সমস্যায় ভুগতে পারে। পাশাপাশি, পোষ্যের ওজন বেশি হলে হার্টের সমস্যা, এমনকি ক্যানসারও হতে পারে। কখনও কখনও স্থূলত্বের কারণে পোষ্যের আয়ুও কমে যেতে পারে।
আরও পড়ুন:
ওজন এবং ডায়েট
পোষ্যের ওজন তার দৈনন্দিন খাওয়াদাওয়া ছাড়াও একাধিক বিষয়ের উপর নির্ভর করে। ছোট বয়সে পোষ্যেরা দস্যি হয়। দৌড়ঝাঁপের কারণে তাদের দেহে মেদ জমতে পারে না। সারমেয়র ওজন কেমন হবে, তা অনেক সময় প্রজাতির উপর নির্ভর করে। আবার বয়স আন্দাজে বিভিন্ন প্রজাতির কুকুরের ওজন বিভিন্ন রকমের হতে পারে।
দিনে কতটা খাবার
বলা হয়, পোষ্যের ওজনের ২ থেকে ৩ শতাংশ ওজনের খাবার তাকে দেওয়া উচিত। প্রয়োজনে সেই খাবারটিকেও কয়েকটি অংশে ভাগ করে নেওয়া যায়। পোষ্যদের জন্য তৈরি কেনা শুকনো খাবার এবং বাড়িতে রান্না করা খাবার মিশিয়ে তাদের ডায়েট তৈরি করা যেতে পারে। পোষ্যকে দিনে দু’বার খাবার খাওয়ার অভ্যাস করানো উচিত— সকাল এবং রাত। কারণ, পোষ্যদের হজমের গতি ধীর হয়। এক বার খাবার খাওয়ার পর তারা ৬ থেকে ৭ ঘণ্টা পর্যন্ত স্বাভাবিক ভাবেই থাকতে পারে। কিন্তু পোষ্যকে কতটা খাবার খাওয়ানো উচিত, তা নির্ধারণ করার আগে পশুরোগ চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করা উচিত। পোষ্যকে কোনও ভিটামিন সাপ্লিমেন্ট খাওয়ানোর আগেও চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।