ছড়ানো লেজ এবং শৌখিন পাখনা। বেট্টা মাছ জলে সাঁতরে বেড়ালে অ্যাকোয়ারিয়ামের শোভা কয়েক গুণ বেড়ে যায়। পাখনার বাহার, সৌন্দর্যের জন্য এই মাছের কদরও যথেষ্ট। নিউ ইয়র্কের অ্যাডেলফি ইউনিভার্সিটির প্রকাশিত রিপোর্ট থেকে প্রাপ্ত তথ্য বলছে এই মাছ ২ থেকে ৫ বছর বাঁচে। পাখনা, গায়ের রং, আকারের রকমফেরে ৭০ রকম বেট্টা মাছ দেখা যায়। উপযুক্ত পরিবেশ, যত্ন পেলে কোনও কোনও মাছের আয়ু ১০ বছরও হতে পারে।
অ্যাকোয়ারিয়াম: বেট্টা মাছের জন্য অন্তত ৫ গ্যালনের অ্যাকোয়ারিয়াম প্রয়োজন। কেউ কেউ মনে করেন, এই মাছ ছোট্ট জায়গায় মানিয়ে নিতে পারে। তবে তা ঠিক নয়। অ্যাকোয়ারিয়াম বড় হলে সাঁতরে বে়ড়ানোর জন্য মাছ অনেকটা জায়গা পাবে। এই ধরনের মাছ কিছুটা আক্রমণাত্মক প্রকৃতির। সে কারণে একাধিক বেট্টা মাছ এক জায়গায় না রাখাই ভাল।
আরও পড়ুন:
আনুষঙ্গিক জিনিস: এই ধরনের মাছের জল থেকে লাফ দেওয়ার প্রবণতা থাকে। ফলে বেট্টা রাখলে অ্যাকোরিয়াম ঢাকনা দিয়ে রাখা জরুরি। জলে স্রোত থাকলে তাদের সাঁতরাতে অসুবিধা হয়। সে কারণে অ্যাকোয়ারিয়ামের জন্য ছোট্ট ফিল্টার, স্পঞ্জ ফিল্টার রাখতে পারেন। সেই সঙ্গে দরকার আলো।
জল: ২৪ থেকে ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় মাছ ভাল থাকে। তবে এর চেয়ে তাপমাত্রা কিছুটা বেশি হলে বিশেষ অসুবিধা হয় না। বরং কম তাপমাত্রায় মাছ ঝিমিয়ে থাকে, খুব বেশি নড়াচড়া করতে যায় না।
অ্যাকোয়ারিয়াম পরিষ্কার জরুরি: অপরিষ্কার জলও এই মাছের ভীষণ অপছন্দের। ক্লোরিন বা ধাতু মিশে থাকা জল বেট্টার জন্য উপযোগী নয়। ফলে নিয়ম করে অ্যাকোয়ারিয়াম পরিষ্কার করা দরকার।
খাবার: বেট্টা মাছের জন্য দিনে ৬ থেকে ৮ ঘণ্টা অন্তর দু’বার খাওয়ার দেওয়ার দরকার। এই মাছের খাবার তালিকায় প্রোটিন থাকা জরুরি। ছোটখাটো পোকামাকড় খায় এরা। এ ছাড়া মাঝেমধ্যে ক্রিল, বাগদা চিংড়িও খাবার হিসাবে দেওয়া যায়।