ভাইরাস বা ব্যাক্টেরিয়াঘটিত নানা রোগে ভোগে বাড়ির পোষা কুকুরও। অনেক সময়েই উপসর্গ না চেনায়, পোষ্যের অভিভাবকেরা রোগ বুঝতে পারেন না। ফলে সংক্রমণ অনেক গভীরে পৌঁছে বিপদ ঘনায়। টিক জ্বর নিয়ে যেমন সতর্ক করছেন পশুরোগ চিকিৎসকেরা, তেমনই শুকনো কাশি, শ্বাসকষ্টের রোগ নিয়েও সতর্ক করা হচ্ছে। কী থেকে এমন রোগ হচ্ছে?
আমেরিকান ভেটেরিনারি মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের রিপোর্ট বলছে, ক্যানাইন অ্যাডেনোভাইরাস ও বরডিটেলা বঙ্কিসেপটিকা ব্যাক্টেরিয়ার সংক্রমণে শ্বাসযন্ত্রের উপরিভাগে সংক্রমণ হচ্ছে কুকুরের। ফলে সর্দি, শুকনো কাশি সারতে চাইছে না। শ্বাসকষ্টও হচ্ছে অনেক ক্ষেত্রেই। পাশাপাশি, চোখ ফুলে যাওয়া, চোখ দিয়ে অনবরত জল পড়ার মতো সমস্যা দেখা দিচ্ছে।
আরও পড়ুন:
এই জীবাণুরা ‘কেনেল কাফ’ নামে রোগেরও কারণ। মানুষের মতো তখন কুকুরেরও ব্রঙ্কাইটিসের সমস্যা দেখা দেয়। শ্বাস নিতে কষ্ট হয়। শুকনো কাশি ভোগাতে থাকে।
চিকিৎসা কী?
বাড়ির পোষ্যের যদি হাঁপানির মতো লক্ষণ দেখা দেয়, যেমন লাগাতার কাশি, শ্বাসকষ্ট, চোখ দিয়ে জল পড়ার মতো সমস্যা হয়, তা হলে দেরি না করে পশুরোগ চিকিৎসককে দেখিয়ে নিতে হবে। সঠিক সময়ে নেবুলাইজ়ার, ইনহেলার, স্টিম ভেপার বা অক্সিজেন চিকিৎসা করলে বিপদের ঝুঁকি কমবে।
পোষ্যকে সঠিক সময়ে টিকা দিয়ে রাখতে হবে। সময়ান্তরে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যেতে হবে।
স্পেশ্যাল মাস্ক পাওয়া যায় কুকুরেরও। জনবহুল জায়গায় গেলে তা পরাতে হবে। মাস্ক উইথ স্পেসার এর মাধ্যমে ইনহেলার দেওয়া হয় কুকুরকে। চিকিৎসকের কাছে গিয়েই তা দিতে হবে।