এক রাতের প্রবল বৃষ্টিতে স্তব্ধ শহর কলকাতা। তার প্রভাব পড়েছে সংলগ্ন জেলাগুলির পরিবহণ ব্যবস্থাতেও। জনজীবন বিপর্যস্ত। এমন পরিস্থিতিতে স্কুলে যেতে না পেরে বাড়িতেই দৌরাত্ম্য শুরু করেছে খুদে?
ছোট সদস্যের দুষ্টুমি সামলাতে বকাবকি নয়, বরং এই দিনে ঘরবন্দি হয়ে থাকতে হলে কাজ সরিয়ে খানিকটা সময় কাটাতে পারেন অন্য ভাবেও। ফিরতে পারেন নিজের ছেলেবেলায়। আবাসনের উঁচু কোনও তলায় দিন কাটানো সন্তানকে এমন দিনে আগলে রাখুন অন্য ভাবে। 'রেনি ডে' হোক মজার। ফিরে চলুন ৩০-৪০ বছর পিছনে।
১. বৃষ্টির দিনে নৌকা ভাসানোর দিনগুলো মনে পড়ে? যখন ছোটদের খেলার সঙ্গী ছিল ছোটরাই। ছিল না মোবাইল, টিভিতে চোখ দিয়ে দিনরাত পড়ে থাকার দরকার হত না। সন্তানের সঙ্গে বসে পড়ুন কাগজ নিয়ে নৌকা বানাতে। বাড়ি বা আবাসনের নীচের জলা জমে সেই নৌকা ভাসিয়ে দিন। খুদেরাও এইসব চাক্ষুষ করে আনন্দ পাবে। তবে জমা জলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়ার ঝুঁকি থাকে। সন্তানকে খেলার ছলে সেই শিক্ষা দিন। নিজেও সতর্ক থাকুন।
২.বৃষ্টির দিন মানেই ধোঁয়া ওঠা খিচুড়ি, সঙ্গে গরম গরম ভাজাভুজি। ছোটদেরও সেই আনন্দ-অভিজ্ঞতার শরিক করুন। রান্না নিয়ে হইচইয়ের অংশ করে তুলুন খুদেকেও। খিচুড়ি, ভাজাভুজি খেতে শেখান তাকেও। নতুন স্বাদ চেনানোও কিন্তু জরুরি।
৩. জলমগ্ন রাস্তা, বৃষ্টির দিন কেমন ভাবে দেখছে সন্তান, তাকে দু-এক কথায় লিখতে বলতে পারেন। কিংবা খুদের সঙ্গী হতে পারে আঁকার খাতা। নিজের মতো আঁকতে বলতে পারেন তাকে। তাকে সঙ্গে নিয়ে ছবি আঁকতে পারেন নিজেও। রঙিন ছবি, আঁকিবুকিতে ফিরে চলুন ছেলেবেলায়। আগে কাদা-মাটি নিয়ে খেলার সুযোগ ছিল। এখন ছোটরা কৃত্রিম রঙিন মাটি নিয়ে খেলে। তা দিয়ে বানাতে পারেন বর্ষার সঙ্গে সাযুজ্যপূর্ণ কিছু।
৪. মোবাইলে আকৃষ্ট আট থেকে আশি। ঘরবন্দি থাকলে আরও বেশি করে মোবাইলে গেম খেলার, টিভিতে কার্টুন দেখার ঝোঁক তৈরি হয় ছোটদের। এমন দিনে সন্তানকে দেখাতে পারেন আপনার ছোটবেলার পছন্দের কোনও সিনেমা। ইন্টারনেটের দৌলতে পুরনো ছবি দেখা এখন অনেক সহজ হয়ে গিয়েছে। কিংবা গল্প বলতে পারেন আপনার শৈশবের।
৫. খুদের একঘেয়েমি কাটাতে বিকেলে বা সন্ধ্যায় স্ন্যাক্স পার্টি হতে পারে। তবে পিৎজ়া, পাস্তা নয়, ঘরোয়া খাবার জুড়ে দিন সেই তালিকায়। থাক মুড়ি-নারকেল মাখা, বাড়িতে ভাজা বড়া, পেঁয়াজি। লুচি-তরকারিও থাকতে পারে মেনুতে।