মানুষের গতিবিধি নজরে রাখতে যেমন জিপিএস ট্র্যাকার আছে, তেমনই পোষ্যদের জন্যও আছে। এটি মূলত দু’রকমের হয়— ফিটবিট যা পোষ্যের স্বাস্থ্য বিষয়ক খুঁটিনাটি জানায় এবং অ্যাক্টিভিটি ট্র্যাকার যার মাধ্যমে আপনি বুঝতে পারবেন পোষ্য কতটা চনমনে রয়েছে, দিনে কত ক্ষণ ছোটাছুটি করছে, এক জায়গায় বেশি ক্ষণ শুয়ে আছে কি না।
বাড়িতে পোষ্য থাকলে সব অভিভাবকেরাই চিন্তায় থাকেন। পোষ্যের ক্লান্তি বাড়ছে কি না, ঠিকমতো খাওয়াদাওয়া করছে না কেন বা কোনও রোগে আক্রান্ত হয়েছে কি না, এই নিয়ে চিন্তা থাকেই। পোষ্যদেরও মন খারাপ হয়, অবসাদ-উদ্বেগে ভোগে তারাও। আবার মানুষের মতোই ডায়াবিটিস, হাইপারটেনশন, হার্টের রোগও হয় পোষ্যদের। তাই ওদের যত্নে রাখতে ও সবসময়ে চোখে চোখে রাখতে ট্র্যাকার খুবই উপযোগী হতে পারে পোষ্যের অভিভাকদের কাছে।
কী কী সুবিধা পাওয়া যাবে ট্র্যাকারে?
১) আপনি যদি দিনের বেশিটা সময়ে বাড়িতে না থাকেন বা ব্যস্ততার কারণে সর্বক্ষণ পোষ্যকে চোখে চোখে না রাখতে পারেন তা হলে অ্যাক্টিভিটি ট্র্যাকার কিনে রাখুন। পোষ্য কতটা হাঁটাহাঁটি করছে আর কত ক্ষণ ঘুমোচ্ছে, তার বিস্তারিত বিবরণ পেয়ে যাই এই ধরনের ট্র্যাকার থেকে।
২) পোষ্যের ঝিমুনি বাড়লে, অল্পে ক্লান্ত হয়ে পড়লে সে তথ্যও জানা যাবে ট্র্যাকার থেকে। তখন সতর্ক হতে হবে।
আরও পড়ুন:
৩) ট্র্যাকারে জিপিএস থাকলে বোঝা যাবে, পোষ্য কোথায় রয়েছে ও কী করছে।
৪) ‘স্লিপ প্যাটার্ন’ বোঝা যাবে অ্যাক্টিভিটি ট্র্যাকার থেকে। পোষ্যের যদি ঘুম বেড়ে যায়, দৌড়ঝাঁপ করতে না চায়, তা হলে সতর্ক হতে হবে। অনেক সময়েই সংক্রমণ জনিত রোগ বা হার্টের রোগ দেখা দিলে, রক্তে শর্করা বাড়লে পোষ্যের আচরণে এমন বদল আসে।
৫) পোষ্যের ওজন বাড়ছে কি না, পুষ্টির ঘাটতি হলেও তা বোঝা যাবে ট্র্যাকার থেকে। তখন পশু চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে সঠিক ডায়েট দিতে হবে পোষ্যকে।
অ্যাক্টিভিটি ট্র্যাকারের দাম ৯০০ থেকে ১০০০ টাকা অবধি আছে। এরও বেশি হয়। ভাল ব্র্যান্ডের ট্র্যাকার যাতে সবরকম সুবিধা আছে, তার দাম আড়াই হাজারের উপর থেকে পড়বে। ব্যাটারি-চালিত এই যন্ত্রগুলি নির্দিষ্ট সময় অন্তর চার্জ দিয়ে নিতে হয়। কোম্পানি-ভেদে কোনওটা ২ দিন অন্তর চার্জ দিতে হয়, কোনওটা আবার ৬ মাস পর্যন্ত চলে এক বার চার্জ করার পর। ফোনে নির্দিষ্ট অ্যাপের মাধ্যমে এই ট্র্যাকারগুলি থেকে পাওয়া তথ্য সরাসরি চলে আসবে আপনার কাছে।