Advertisement
৩০ নভেম্বর ২০২৩
Relationship

স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কে অশান্তি বাধার পিছনে মূল খলনায়ক আসলে কে?

অনেক সময়ে কোনও তৃতীয় ব্যক্তির কারণে নয়, নিজেদের কিছু ভুলেই সম্পর্ক তলানিতে পৌঁছয়। জেনে নিন, স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কে প্রধান খলনায়ক কে?

সম্পর্কে ‘ভিলেন’ কে?

সম্পর্কে ‘ভিলেন’ কে? ছবি: শাটারস্টক।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৮:২২
Share: Save:

এক ছাদের তলায় থাকতে গিয়ে একে অপরের সঙ্গে মতানৈক্য হওয়া খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার। দাম্পত্য জীবনে ছোটখাটো বিষয় নিয়ে ঝগড়াঝাঁটি লেগেই থাকে। সম্পর্ক বিষয়ক পরামর্শদাতাদের মতে, মনে রাগ পুষে রাগা মোটেই সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার ক্ষেত্রে ভাল না। বরং ঝগড়া করলে মন হালকা হয়, জমা কথা এক নিমেষেই বেরিয়ে পড়ে। অবসান হয় কত পুষে রাখা রাগ, অভিমানের। কখনও আবার ঝগড়া এমন পর্যায়ে পৌঁছে যায় যে, তাসের দেশের মতো ভেঙে যায় বহু দিনের সম্পর্ক। অনেক সময়ে কোনও তৃতীয় ব্যক্তির কারণে নয়, নিজেদের কিছু ভুলেই সম্পর্ক তলানিতে পৌঁছয়। জেনে নিন, স্বামী-স্ত্রী সম্পর্কে প্রধান খলনায়ক কে?

কোনও দাম্পত্যের সম্পর্কই কখনও ‘পারফেক্ট’ হয় না

আপনার মনে হতে পারে, আপনার দাম্পত্য জীবনেই খালি ঝগড়া, অশান্তি লেগে রয়েছে আর আপনার বন্ধুরা বেশ মজায় রয়েছেন। তাঁদের সম্পর্ক বেশ সুখের। চারপাশের লোকজনের জীবনেও কিন্তু সমস্যা আছে। কারও কম, তো কারও বেশি। অথচ আপনার চোখে ভাসছে দাম্পত্য জীবনের কয়েকটি সুখী ছবি যেগুলি ক্রমাগত সমাজমাধ্যমে আপনার চোখের সামনে ঘুরছে। নিজেদের সম্পর্ককে ছোট করে অন্যদের বড় করে দেখার কোনও কারণ নেই। যা চোখের সামনে দেখছেন তা সত্যি না-ও হতে পারে। তাই অন্যদের সুখ্যাতি না করে নিজের সম্পর্কে উদ‌্‌যাপন করার চেষ্টা করুন।

সম্পর্কে তুলনা করা বন্ধ করুন

অন্য কোনও দম্পতির সঙ্গে নিজের সম্পর্ক তুলনা করবেন না। আমাদের মধ্যে প্রবণতা থাকে অন্য কাউকে কিছু করতে দেখলেই আমাদেরও সেই কাজ করতে ইচ্ছে করে। কাউকে ঘুরতে গিয়ে সমাজমাধ্যমে ছবি দিতে দেখলেই আমাদেরও মনে হয় কেবল আমাদের জীবনেই কোনও সুখ নেই। আর সেই অসুখী মনোভাব থেকেই দাম্পত্যে কলহ বাঁধে। তাই সবার আগে অন্যের সঙ্গে তুলনা করা বন্ধ করতে হবে। তা হলেই দেখবেন ছোট ছোট জিনিসেই আপনি সুখ খুঁজে পাবেন।

দাম্পত্যে যেন অহংবোধ কাজ না করে

কোনও ঝগড়ার পরেই দরজায় খিল আটকে বসে থাকেন অনেকে। কথাবার্তা তো দূরের কথা, একে অপরের মুখ দেখাদেখিও বন্ধ। ভাবেন, আমি কেন ওর সামনে ঝুঁকব, আমার তো দোষ নেই। নিজেদের অহংবোধকে গুরুত্ব দিতে গিয়েই সমস্যা বেড়ে যায়। এই কাজ ভুলেও করবেন না। রাগ পুষে রাখলে সমস্যা আরও বাড়বে। বরং নিজেকে শান্ত করে দু’জনেই কথা বলতে শুরু করুন। ঝগড়ার পর একে অপরের সঙ্গে স্বাভাবিক ভাবে কথা বলতে সময় লাগে। তাই বলে কথা বন্ধ করে বসে থাকার কোনও অর্থ হয় না।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement

Share this article

CLOSE