কলকাতার রাজাবাজারের রাস্তায় কুপিয়ে খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল পুলিশ। রবিবার সকালে ঝাড়খণ্ডে তাঁকে পাকড়াও করা হয়। সেখানকার আদালতে হাজির করিয়ে ট্রানজিট রিমান্ডের আবেদন জানানো হয়েছে। সেই আবেদন মঞ্জুর হলে রাতের মধ্যে তাঁকে কলকাতায় নিয়ে আসা হতে পারে।
গত ২২ ডিসেম্বর সকালে খুনের ঘটনাটি ঘটে। মৃতের নাম মেহবুব আলম (৪১)। রাজাবাজার এলাকায় তাঁর ফলের দোকান ছিল। ঘটনার সময় তিনি নিজের দোকানে ছিলেন। স্থানীয় সূত্রে দাবি, সকাল সাড়ে ৯টা থেকে ১০টার মধ্যে এক জন যুবক ওই দোকানে আসেন। তার পরে আচমকা ধারালো ছুরি দিয়ে মেহবুবকে এলোপাথাড়ি কোপাতে শুরু করে দেন। প্রকাশ্য রাস্তায় সকলের চোখের সামনে ঘটনাটি ঘটে। রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তার মধ্যে তাঁকে ফেলে রেখে পালিয়ে যান অভিযুক্ত। মেহবুবকে উদ্ধার করে নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় আমহার্স্ট স্ট্রিট থানার পুলিশ। মৃতের স্ত্রী জ়াহিদা খাতুনের অভিযোগের ভিত্তিতে খুনের মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়। মুসলিম আনসারি নামে জনৈকের নামে এফআইআর দায়ের করে পুলিশ। তাঁর খোঁজ শুরু হয়। জানা যায়, আনসারির বাড়ি ঝাড়খণ্ডের গিরিডি জেলায়। সেখানকার পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে গ্রেফতার করা হয় আনসারিকে। তাঁর কাছ থেকে অস্ত্র এবং একটি স্কুটার উদ্ধার হয়েছে। সেগুলি খুনের ঘটনার সঙ্গে যুক্ত কি না, তা এখনও জানা যায়নি।
আরও পড়ুন:
কী কারণে খুন? পুলিশ সূত্রে খবর, আনসারির স্ত্রীর সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন মেহবুব। সেই সম্পর্কের কথা জানাজানি হওয়ার পর থেকে অশান্তি শুরু হয়। তদন্তকারীদের সন্দেহ, রাগে মেহবুবকে খুন করেন আনসারি। তবে এ বিষয়ে আরও বিস্তারিত তদন্তের প্রয়োজন রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।