বাবা-মায়ের মধ্যে মতের মিল না থাকলে অনিশ্চয়তায় ভুগতে দেখা যায় বহু শিশুকে।
নিজেদের মধ্যে সমস্যা থাকলেও শিশুকে তা বুঝতে দিতে চান না অধিকাংশ বাবা-মা। কিন্তু তার মানেই কি সব সমস্যা থেকে দূরে রাখা যায় শিশুকে?
বড় হওয়ার সময়ে নানা ভাবে যত্ন প্রয়োজন হয় শিশুদের। বাবা-মায়ের আদর, খাওয়াদাওয়া, লেখাপড়া, খেলা জরুরি। তেমন দরকার সংসারের শান্তিও। বাড়িতে সর্বক্ষণ ঝঞ্ঝাট লেগে থাকলে তার প্রভাব কোনও না কোনও ভাবে সন্তানের মনের উপর পড়বেই। আর ছাপ পড়বে তার ব্যক্তিত্বের উপরও।
পারিবারিক অশান্তির প্রভাব কোন কোন ভাবে পড়ে শিশুর উপরে?
১) বাবা-মায়ের মধ্যে মতের মিল না থাকলে অনিশ্চয়তায় ভুগতে দেখা যায় বহু শিশুকে। তাদের জীবন কোন দিকে মোড় নেবে, সে চিন্তা ছোটবেলা থেকেই পেয়ে বসে।
বাবা-মায়েদের নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়া করা জরুরি। তাঁদের সম্পর্কের তিক্ততা যেন কখনও শিশুর ব্যক্তিত্বে ছাপ না ফেলতে পারে, সে দিকে খেয়াল রাখুন।
২) ৩-৭ বছর বয়স হল শিশুদের মনে সম্পর্ক সংক্রান্ত ভাবনা তৈরি হওয়ার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময়। এই কয়েকটি বছর স্কুলে গিয়ে নতুন বন্ধুদের সঙ্গে ভাব জমাতে শুরু করে তারা। নিজেদের জগৎ আলাদা ভাবে তৈরি হয়। এমন সময়ে বাড়ির পরিস্থিতি অশান্ত হলে, তাদের বাকি সম্পর্কও শান্তিপূর্ণ না হওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়।
৩) পারিবারিক অশান্তি অতিরিক্ত মাত্রায় চলতে থাকলে তা শিশুর মানসিক চাপ বাড়ায়। অবসাদ এবং উদ্বেগের মতো অসুখ ছোট থেকেই ঢুকে পড়তে পারে তার মনে।
বড়দের মধ্যে মতের মিল অনেক সময়েই হয় না। তার জেরে অশান্তিও হতে পারে। কিন্তু বাবা-মায়েদের নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়া করা জরুরি। তাঁদের সম্পর্কের তিক্ততা যেন কখনও শিশুর ব্যক্তিত্বে ছাপ না ফেলতে পারে, সে দিকে খেয়াল রাখুন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy