উপোসি থাকার পর খিদে সাংঘাতিক বেড়ে গিয়েছে পর্যটকদের।
চলতি বছর নাকি প্রতিশোধের বছর। ‘প্রতিশোধ’ শুনে মনে হতেই পারে, ভয়ঙ্কর হিংসাত্মক একটা কিছু। কিন্তু বিষয়টা আদপেও তা নয়। এই বছর নাকি অনেকেই করোনার উপর প্রতিশোধ নিতে চলেছেন। গত বছর যে যে কাজ তাঁরা করতে পারেননি, সেগুলোই এ বছর বেশি করে করবেন তাঁরা।
এই তালিকায় প্রথমেই রয়েছে বেড়ানোর কথা। সেই কারণে হালে খুব জনপ্রিয় হয়েছে এক নতুন শব্দবন্ধ। ‘রিভেঞ্জ ট্রাভেল’। বা ‘প্রতিশোধের বেড়ানো’। ২০২০ সালে প্রায় কেউই সে ভাবে বেড়াতে যেতে পারেননি। ২০২১ সালে সেটাই পুষিয়ে নেওয়ার কথা ভাবছেন অনেকে। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, চলতি বছরে এই কারণেই বিপুল পরিমাণে বাড়বে বেড়ানোর প্রবণতা। এই প্রবণতাকে চিহ্নিত করা যাচ্ছে মূলত সমাজ মাধ্যমে ভ্রমণেচ্ছুকদের বিভিন্ন পোস্ট থেকে। এক বছর উপোসি থাকার পর তাঁদের খিদে সাংঘাতিক বেড়ে গিয়েছে। গোটা পৃথিবী জুড়েই এই মুহূর্তে 'রিভেঞ্জ ট্রাভেল'-এর হাওয়া।
এই ‘রিভেঞ্জ ট্রাভেল’ বা ‘প্রতিশোধের বেড়ানোর’র ফলে অর্থনৈতিক কাঠামোর লাভ হবে বলেও মনে করছেন অনেকে। কোভিডের কারণে বহু ক্ষেত্রেরই বিপুল আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। এই তালিকায় একেবারে প্রথম দিকে থাকবে ট্যুরিজম সেক্টরের নাম। বিদেশে তো বটেই, দেশের মধ্যেও পর্যটকদের এ দিক ওদিক যাওয়া বন্ধ হয়ে গিয়েছে। ফলে, ছোট ছোট এজেন্সি থেকে শুরু করে বড় বড় হোটেল, বিমান কোম্পানি— সকলেই লোকসানের মুখে পড়েছে। ‘রিভেঞ্জ ট্রাভেল’-এর কারণে এই পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত অনেকেই আবার রোজগারের মুখ দেখবেন বলে আশা।
গত বছরের শেষ থেকেই একটু একটু করে পর্টকরা বেরিয়ে পড়ছিলেন। বিশেষ করে পার্বত্য এলাকাগুলোয় আবার হাজির হতে শুরু করেছেন তাঁরা। ২০২১ সালে এই ধারা আরও বাড়বে বলে আশা। টিকাকরণের সংখ্যা বাড়লে আরও বেশি মানুষ নিরাপদ বোধ করবেন। আর তাতেই এই ‘প্রতিশোধ’-স্পৃহা তাঁদের মধ্যে বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy