ছানি কাটার অস্ত্রোপচার করতে গিয়ে দৃষ্টিশক্তি হারালেন পাঁচ বয়স্ক রোগী। গুয়াহাটির মহেন্দ্রমোহন চৌধুরি হাসপাতালে এই কাণ্ড ঘটেছে। সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক ও নার্সকে সাসপেন্ড করে তদন্ত ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। সরকারি খরচে ওই পাঁচ রোগীকে বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে নকল চোখও লাগানো হয়। কিন্তু তাতে সন্তুষ্ট নন রোগীদের আত্মীয়েরা। তাঁদের দাবি, পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ ও দোষী চিকিৎসকের সাজা দিতে হবে।
ঘটনার শুরু শুক্রবার। সপ্তাহে ছ’দিন পানবাজারের মহেন্দ্রমোহন চৌধুরি হাসপাতালে বিনামূল্যে ছানি কাটা হয়। শুক্রবার মোট ২৭ জনের চোখে অস্ত্রোপচার হয়েছিল। দায়িত্বে ছিলেন চিকিৎসক বিন্দু শিঙলা। এদের মধ্যে গঙ্গারাম কলিতা (৭৫), ধর্মেশ্বর রামচিয়ারি (৬৫), পরবানু বিবি (৬৫), রূপচন্দ্র মণ্ডল (৬০) ও তারিণীকান্ত মেধি (৬২)-র চোখে ব্যথা হতে থাকে। অভিযোগ, তাঁদের কথায় পাত্তাই দেননি কর্তব্যরত চিকিৎসক ও নার্স। পরদিন তাঁরা বাড়ি ফিরে আসেন। যন্ত্রণা বাড়তেই থাকে।
সোমবার ফের ওই পাঁচ রোগী হাসপাতালে আসেন। চোখের অবস্থা দেখে সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকেরা তাঁদের একটি বেরসরকারি হাসপাতালে পাঠান। সেখানে ‘বিটা স্ক্যান’ করে দেখা যায় সকলের চোখেই মারাত্মক সংক্রমণ হয়েছে। বেসরকারি হাসপাতাল ফের রোগীদের সরকারি হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে আরও দু’দিন পরীক্ষার পরে ডাক্তাররা জানান, সকলেরই অস্ত্রোপচার হওয়া চোখটি খারাপ হয়ে গিয়েছে। সংক্রামিত চোখে আর দৃষ্টি ফিরবে না।