খাবারের দুনিয়ায় একটা চালু কথা আছে। প্রত্যেকের ডিম খাওয়ার ধরন আলাদা। কথাটা ঠিক বর্ণে বর্ণে সত্যি না হলেও এ কথা মানতেই হবে যে, ডিম খেতে ভালবাসেন যাঁরা তাঁদের ডিম খাওয়ার নিজস্ব প্রিয় ধরন রয়েছে। কেউ ভালবাসেন নরম কুসুম। কেউ ভালবাসেন কঠিন। কেউ আবার গড়িয়ে পড়া তরল কুসুম পছন্দ করেন। পোচ, ওমলেট, স্ক্র্যাম্বলড এগ, ডিমের ভুজিয়া, ফ্রায়েড এগ— সবই নানা ভাবে বানানো যায়। কফির ক্ষেত্রেও ব্যাপারটা অনেকটা তেমন। কফি নানা ভাবে খাওয়া যায়। প্রত্যেকের পছন্দের কফির নিজস্ব স্বাদ আছে। কেউ চিনি ছাড়া কালো কফি পছন্দ করেন। কেউ আবার কালো কফিই খান সামান্য চিনি দিয়ে। কেউ ইনস্ট্যান্ট কফি পছন্দ করেন তো কেউ তাজা কফির দানা রোস্ট করে তা থেকে তৈরি করেন ফিল্টার কফি। বলিউড অভিনেতা শাহরুখ খানের কেমন কফি পছন্দ?
এক সাক্ষাৎকারে তাঁর কফি খাওয়ার গল্প শুনিয়েছেন শাহরুখ। জানিয়েছেন, বহু বছর আগে খাওয়া একটি কফির স্বাদ আজও তাঁর স্মৃতিতে উজ্জ্বল। এখনও মাঝেমধ্যেই সেই কফি খাওয়ার ইচ্ছে হয় তাঁর। তবে চাইলেই খাওয়া সম্ভব হয় না। কারণ তিনি মুম্বইয়ের বাসিন্দা আর সেই কফি পাওয়া যেত দিল্লিতে।
ছবি: সংগৃহীত।
মুম্বইয়ের বান্দ্রার মন্নতবাসী শাহরুখের ছোটবেলা কেটেছে দিল্লিতে। এমনকি, তাঁর কলেজের পড়াশোনাও তিনি শেষ করেছিলেন সেখানেই। বন্ধুদের সঙ্গে দিল্লির রাস্তায় ঘুরে বেড়ানোর গল্পও বহু বার শুনিয়েছেন শাহরুখ। সাম্প্রতিক সাক্ষাৎকারে দিল্লিতে স্কুলে এবং কলেজে পড়াকালীন বন্ধুদের সঙ্গে একটি দোকানে প্রায়ই কোল্ড কফি খেতে আসতেন তিনি। সেই কফির দোকানের নাম মনে করে শাহরুখ জানিয়েছেন, দোকানের নাম ছিল ‘ডিপল কফি শপ’। কাচের বোতলে ঠান্ডা কফি ভর্তি করে পরিবেশন করা হত। শাহরুখ জানিয়েছেন, স্কুল-কলেজে পড়াকালীন ওই কফির দোকান ছিল তাদের আড্ডা দেওয়ার এবং আয়েস করে সময় কাটানোর জায়গা। সেই সব স্মৃতি এখনও তাঁর মনে পড়ে।
শাহরুখ যে কফির দোকানের কথা বলছেন, সেটির ঠিকানা দিল্লির জনপথ ভবন। ৭২ বছরের পুরনো ওই দোকানের মালিক অশ্বিনী কাঠপালিয়া জানাচ্ছেন, শাহরুখ ‘ফৌজি’তে অভিনয় করার পরেও ওই দোকানে গিয়ে তাঁর প্রিয় কফি খেয়ে এসেছেন। শুরু থেকে কোল্ড কফিই বানাতেন তাঁরা। শাহরুখও সেই কফিই খেতে ভালবাসতেন। সাক্ষাৎকারে শাহরুখের কফি খাওয়ার কথা শুনে অশ্বিনী বলেছেন, ‘‘উনি হয়তো এখন আর আসতে পারবেন না। তবে ওঁর যদি ছেলেবেলার প্রিয় কফি খাওয়ার কখনও ইচ্ছে হয়, তবে উনি আমাদের ফোন করলেই দিল্লি থেকে মন্নতে পাঠানোর ব্যবস্থা করব কফি।’’