কোন পোকার স্বাদ কেমন? ছবি: প্রতীকী
‘অশনি সংকেত’-এ সিঙ্গাপুর কোথায় তা জানতে চাওয়ায় গঙ্গাচরণ তাকে মেদিনীপুরের প্রতিবেশী বানিয়েছিলেন। এখন অবশ্য সিঙ্গাপুর আর অপরিচিত নেই বাঙালির কাছে। পকেটের ওজন বাড়লেই এখন অনেকে ঘুরে আসেন সিঙ্গাপুর। সিঙ্গাপুরে গেলেই এ বার হরেক রকম পোকা চেখে দেখার সুযোগ মিলতে পারে। বিভিন্ন পোকাকে আমিষ খাবারের অন্তর্ভুক্ত করা যায় কি না, তা খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নিল সে দেশের খাদ্য দফতর।
সিঙ্গাপুরের সংবাদমাধ্যমের খবর, ঝিঁঝি পোকা, গুবরে পোকা, মথ এবং মৌমাছির কয়েকটি প্রজাতিকে খাদ্যতালিকার অন্তর্ভুক্ত করার কথা ভাবছে সে দেশের প্রশাসন। ‘সিঙ্গাপুর ফুড এজেন্সি’ বা ‘এসএফএ’ সূত্রে খবর, নতুন নিয়মে শুধু সরাসরি খাওয়ার প্রচলনই নয়, এই ধরনের পোকা থেকে তৈরি বিভিন্ন নাস্তা কিংবা প্রোটিন বারের মতো প্যাকেটজাত খাবারও খেতে পারবেন মানুষ।
রাষ্ট্রপুঞ্জের ‘ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচার অর্গানাইজেশন’ বা ‘এফএও’ থেকেও সম্প্রতি প্রোটিনজাত খাবারের নির্ভরযোগ্য উৎস হিসাবে নিয়ন্ত্রিত ভাবে বিভিন্ন ধরনের পোকা খাওয়ার প্রচলনের পরামর্শ দিচ্ছে। অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ কোরিয়া ও তাইল্যান্ডের মতো দেশে কী ধরনের পোকা খাওয়া হয়, তা থেকেই অনুপ্রেরণা নিচ্ছে সিঙ্গাপুর প্রশাসন। প্রসঙ্গত, দক্ষিণ কোরিয়ায় রেশম পোকার লার্ভা এবং তাইল্যান্ডে ঝিঁঝি পোকা খাওয়ার চল রয়েছে বহু যুগ ধরেই। সিঙ্গাপুর ফুড এজেন্সির মুখপাত্র জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই অন্তত ১০টি সংস্থা এই ধরনের খাওয়ার উপযোগী কীট চাষ ও আমদানিতে আগ্রহ দেখিয়েছে। কী ভাবে রোগ বা জীবাণুর আক্রমণ এড়িয়ে পোকাগুলি রান্না করা যায় মূলত সেই দিকটিই খতিয়ে দেখেই সিদ্ধান্ত নেবে সিঙ্গাপুর প্রশাসন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy