শরীরচর্চার অন্যতম কার্যকর উপায় দৌড়নো। হালকা জগিং, একটু জোরে হাঁটা, ধীর লয় থেকে মধ্য লয়ে দৌড়নো— এ সব কেবল ওজন কমায়, মেদ ঝরায় তা-ই নয়, বরং মাংসপেশীগুলোকে মজবুত রাখতে, পেশীর শিথিলতা রুখতেও এই কসরত প্রয়োজনীয়। দৌড়লে একই সময়ে সম্পূর্ণ শরীরের কসরত হয়ে যায়।
কিন্তু দৌড়নো শুরু করার ইচ্ছে হলেই তা শুরু করে ফেললাম, এমনটা করা উচিত নয় বলেই মত ফিটনেস বিশেষজ্ঞদের। মাথায় রাখতে হবে হঠাৎ দৌড় শুরুর পর চোট-আঘাতের দিকটাও। চিকিত্সক সুকোমল সেন জানালেন, “এক দিন সকালে উঠে বা বিকেলে মনে হল, যাই একটু দৌড়ে আসি, বিষয়টা এ ভাবে না ভাবাই ভাল। মানসিক প্রস্তুতির সঙ্গে হঠাৎ শুরু করা শারীরিক কসরতের কারণে শরীরের নানা ব্যথা-বেদনা কী ভাবে সামাল দেব, তা জানাও জরুরি। ‘প্রতি দিন অভ্যাস করতে করতে কমে যাবে’— এই ভুল ধারণা থেকে আগে বেরতে হবে।’’
হঠাৎ তৈরি হওয়া নতুন রুটিনে শরীরের অভ্যস্ত হতে কিছুটা সময় লাগে। তাই জগিং বা দৌড়নো শুরু করার পর পেশীতে টান ধরা বা যন্ত্রণা হওয়া খুব স্বাভাবিক ঘটনা। ভয়ে পেয়ে দৌড়নো বন্ধ করে দেওয়ারও কোনও কারণ নেই। কিন্তু সঙ্গে এই যন্ত্রণাকে নিয়ন্ত্রণ করা নিয়েও ওয়াকিবহাল থাকতে হবে। এই যন্ত্রণা দীর্ঘ দিন স্থায়ী হয়, তা হলে অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। সাধারণত মাংসপেশীর যন্ত্রণাকে কিছু উপায়ে কব্জা করাও যায়। কেমন তা?