Advertisement
E-Paper

লিভার সিরোসিস এড়াতে মেনে চলুন এ সব

প্রতি বছর লিভারের যে সমস্যায় প্রতি বছর অনেক মানুষ আক্রান্ত হন, তা ‘লিভার সিরোসিস’। মদ্যপান ছাড়াও প্রতি দিনের বেশ কিছু ভুল অভ্যাসের জেরেও এই অসুখ আক্রমণ করতে পারে। জানেন সে সব কী কী?

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ০৬ নভেম্বর ২০১৮ ১৭:২৫
লিভার সিরোসিস রুখে দিতে পরিবর্তন আনুন জীবনশৈলীতে। ছবি: শাটারস্টক

লিভার সিরোসিস রুখে দিতে পরিবর্তন আনুন জীবনশৈলীতে। ছবি: শাটারস্টক

যকৃত বা লিভারের নানা সমস্যা শরীরকে কমজোরি যেমন করে তোলে, তেমনই লিভারের সমস্যার জেরে মৃত্যু পর্যন্ত হানা দিতে পারে। প্রতি বছর লিভারের যে সমস্যায় প্রতি বছর অনেক মানুষ আক্রান্ত হন, তা ‘লিভার সিরোসিস’।

লিভারের দীর্ঘস্থায়ী ক্ষত থেকে এই অসুখ জন্ম নেয়। লিভারের কার্যক্ষমতা পুরোপুরি নষ্ট হয় এই অসুখের প্রভাবে। অনেকেরই ধারণা, কেবল অতিরিক্ত মদ্যপানের কারণে এই অসুখ হানা দেয়। কিন্তু গ্যাস্ট্রোএন্টেরোলজিস্ট ভাস্করবিকাশ পালের মতে, মদ্যপান ছাড়াও প্রতি দিনের বেশ কিছু ভুল অভ্যাসের জেরেও এই অসুখ আক্রমণ করতে পারে।

কিন্তু খুব সহজেই আমরা এর থেকে নিজেদের দূরে রাখতে পারি। চিকিৎসকদের মতে, লিভার এমনই এক অঙ্গ, যার অনেকটা নষ্ট হলেও একটু নিয়ম মানলেই আবার লিভারের স্বাস্থ্য ফেরে । সামান্য সতর্কতায় লিভার সিরোসিসের ঝুঁকিও এড়ানো সম্ভব। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ভাস্করবিকাশ পাল জানালেন তার উপায়।

আরও পড়ুন: বাজিতে পুড়ে গিয়েছে? সঙ্গে সঙ্গে যা করতেই হবে আপনাকে

মশলাদার খাবার, জাঙ্ক ফুড এড়িয়ে চলুন। ছবি: পিক্সঅ্যাবে।

মদ্যপান: লিভার সিরোসিসের অন্যতম কারণ অতিরিক্ত পরিমাণে মদ্যপান। তাই লিভারকে সুস্থ রাখতে অনিয়ন্ত্রিত মদ্যপানে রাশ টানুন আজই।

সহজপাচ্য খাবার: হজমশক্তিকে বাধা দেবে না এমন খাবার খাওয়ার অভ্যাস আছে কি? অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপনের কবলে পড়ে প্রায় রোজই তৈলাক্ত খাবার, অতিরিক্ত ঝাল-মশলাযুক্ত খাবার গ্রহণ করেন অনেকেই। এতে সিরোসিস অব লিভারের সম্ভাবনা বেড়ে যায় অনেকখানি। মশলাদার খাবার, জাঙ্ক ফুড এড়িয়ে বরং আস্থা রাখুন সবুজ শাক-সব্জি ও কম তেল-মশলার খাবারে।

পিঁয়াজ-রসুন: কাঁচা পিঁয়াজ ও রসুন শরীরের টক্সিনকে বার করে দিতে সাহায্য করে। তাই প্রতি দিন মেনুতে কিছুটা কাঁচা পিঁয়াজ ও রসুন রাখুন।

প্রক্রিয়াজাত খাবার: দীর্ঘ দিন সংরক্ষণ করে রাখা যায় এমন খাবারে অভ্যস্ত? তা হলে এই স্বভাব আজই ত্যাগ করুন। বোতল ও টিনজাত খাবারের রমরমা লিভার সিরোসিসের অন্যতম কারণ। প্রিজারভেটিভ বা সংরক্ষণক্ষম খাবার অর্থাৎ সস, বোতলজাত ফলের রস, কোল্ড ড্রিঙ্ক, বেকারিজাত স্ন্যাক্স— এ সব যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলুন।

ব্যথানাশক: শরীরের কোথাও ব্যথা বাড়লেই তা সহ্য না করে যখন তখন ব্যথানাশক ওষুধ খাওয়ার অভ্যাস থাকলে তা কিন্তু লিভারের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকারক। ব্যথানাশক ওষুধে ব্যবহৃত নানা যৌগ লিভারের কার্যক্ষমতা নষ্ট করে লিভারের ক্ষতিসাধন করে। কখনওই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ব্যথানাশক ওষুধ খাবেন না।

আরও পড়ুন: কিডনিতে পাথর রুখতে অবশ্যই মেনে চলুন এ সব

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

কায়িক শ্রম: সারা দিন কত ক্ষণ হাঁটেন? বা কী কী কায়িক পরিশ্রম করেন? শারীরিক শ্রম শরীরে মেদ জমতে দেয় না। ফলে লিভারে ফ্যাট জমে না ও লিভার সুস্থ থাকে।

সঠিক পরিমাণে জল: শরীরের চাহিদা অনুযায়ী জল পানের অভ্যাস করুন। জল টক্সিন সরিয়ে শরীরকে সুস্থ রাখে। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে সঠিক পরিমাণে জল খান।

Health Tips Fitness Tips Liver লিভার
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy