শারীরিক রোগের গালভরা নাম শুনলে আমরা যেমন সমীহ করি, ঠিক তার উল্টোটা হয় মানসিক সমস্যার ক্ষেত্রে। এখনও মানসিক রোগ নিয়ে আমাদের ট্যাবু কাটেনি। তাই পরিবারের কেউ মানসিক সমস্যায় আক্রান্ত হলে চিকিত্সা করানোর আগে সমস্যা লুকোতেই ব্যস্ত হয়ে পড়েন সদস্যরা। এমনই এক কঠিন মানসিক সমস্যা স্কিজোফ্রেনিয়া।
প্রাথমিক পর্যায়ে স্কিজোফ্রেনিয়ার চিকিত্সা না করানো হলে তা ক্রনিক সমস্যা হয়ে উঠতে পারে। আমাদের দেশে মানসিক রোগ সম্পর্কে ধারণায় স্বচ্ছতার অভাব থাকায় অধিকাংশ ক্ষেত্রেই চরম অবস্থায় পৌঁছে যায় স্কিজোফ্রেনিয়া। এই রোগে আক্রান্তের ভাবনা-চিন্তা, অনুভূতি, কাজের উপর প্রভাব ফেলে।
ঠিক কী কারণে কেউ স্কিজোফ্রেনিয়ায় আক্রান্ত হন তার কোনও নির্দিষ্ট কারণ এখনও খুঁজে পাননি বিজ্ঞানীরা। কোনও অভিজ্ঞতার ফলে অত্যধিক মানসিক চাপ থেকে এই সমস্যা হতে পারে। এ ছাড়াও বংশগত কারণ, মস্তিষ্কে রাসায়নিকের ভারসাম্যের অভাব, অনেক সময় ভয়াবহ ভাইরাল ইনফেকশন থেকেও হতে পারে স্কিজোফ্রেনিয়া।
যে কোনও বয়সের মানুষই স্কিজোফ্রেনিয়ায় আক্রান্ত হতে পারেন। সাধারণত ১৬-৩০ বছর বয়সের মধ্যেই এই রোগের প্রথম লক্ষণ দেখা যায়। পুরুষদের ক্ষেত্রে তুলনামূলক কম বয়সেই প্রথম লক্ষণ ধরা পড়ে।
এখনও পর্যন্ত স্কিজোফ্রেনিয়া নিরাময়ের কোনও উপায় বের করতে পারেননি মনোবিদরা। তবে ওষুধের সাহায্যে রোগের লক্ষণ ও প্রকোপ নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। তাই যত কম বয়সে রোগ ধরা পড়ে ও চিকিত্সা শুরু যায়, ততই ভাল।
আরও পড়ুন: আজ বিশ্ব হাইপার টেনশন দিবস, সতর্ক থাকুন এই ‘সাইলেন্ট কিলার’ সম্পর্কে
স্কিজোফ্রেনিয়া সম্পর্কে সচেতনতা গড়ে তুলতে প্রতি বছর ২৪ মে বিশ্ব স্কিজোফ্রেনিয়া দিবস পালন করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy