Advertisement
E-Paper

রোগী-মৃত্যু ঠেকাতে বিশেষ প্রশিক্ষণ

জেলায় জেলায় ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট খোলা হচ্ছে। কিন্তু সেখানে পরিষেবার মান কতটা যথাযথ, সেই প্রশ্নে বারবার বিব্রত হতে হচ্ছে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরকে। সেই কারণেই বিশেষ পরামর্শদাতা কমিটির সুপারিশ অনুসারে এ বার ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটের কর্মীদের জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হল। মুমূর্ষু রোগীকে অপটু হাতে সামলাতে গিয়ে যাতে কোনও দুর্ঘটনা না-ঘটে, তা নিশ্চিত করতেই এই সিদ্ধান্ত বলে স্বাস্থ্য ভবন সূত্রের খবর।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৪ মে ২০১৫ ০৩:২৪

জেলায় জেলায় ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট খোলা হচ্ছে। কিন্তু সেখানে পরিষেবার মান কতটা যথাযথ, সেই প্রশ্নে বারবার বিব্রত হতে হচ্ছে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরকে। সেই কারণেই বিশেষ পরামর্শদাতা কমিটির সুপারিশ অনুসারে এ বার ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটের কর্মীদের জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হল। মুমূর্ষু রোগীকে অপটু হাতে সামলাতে গিয়ে যাতে কোনও দুর্ঘটনা না-ঘটে, তা নিশ্চিত করতেই এই সিদ্ধান্ত বলে স্বাস্থ্য ভবন সূত্রের খবর।

স্বাস্থ্যকর্তারা জানান, ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটের ডাক্তারদের জন্য ৪৮ এবং নার্সদের জন্য ১৮ দিনের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা হয়েছে। প্রশিক্ষণ শুরু হবে মে মাসের মাঝামাঝি।

সরকার গঠনের পরে স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রটিকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাড়ানো হয় সিক নিউ বর্ন কেয়ার ইউনিট এবং ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটের সংখ্যা। মা ও শিশুর মৃত্যুহার কমাতে বিশেষ টাস্ক ফোর্স গড়া হয়। তৈরি হয় বিশেষ পরামর্শদাতা কমিটি। সেই কমিটির সাম্প্রতিক রিপোর্টেই ধরা পড়েছে, ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটের সংখ্যা বাড়লেও জেলা হাসপাতালগুলিতে সঙ্কটাপন্ন রোগীদের অবস্থার বিশেষ পরিবর্তন হয়নি। প্রশিক্ষণের অভাবেই যে এমন হাল, সেটাও স্পষ্টই বলা হয়েছে কমিটির রিপোর্টে।

স্বাস্থ্য দফতরের এক শীর্ষ কর্তা বলেন, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, মালদহ এবং শিলিগুড়ির কয়েকটি ইউনিটের পরিষেবা নিয়ে লাগাতার অভিযোগ আসছিল। এর মধ্যে তিনটি কেন্দ্রে চিকিৎসক এবং নার্সদের গাফিলতিতে রোগীর মৃত্যুর অভিযোগও এসেছে। ‘‘পরপর এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতেই বিশেষ প্রশিক্ষণের কথা ভাবা হয়েছে। আশা করা যায়, প্রশিক্ষণ ঠিকঠাক হলে পরিষেবা নিয়ে অভিযোগ কমানো সম্ভব হবে,’’ বললেন ওই শীর্ষ স্বাস্থ্যকর্তা।

রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা বিশ্বরঞ্জন শতপথী জানান, সিক নিউ বর্ন কেয়ার ইউনিট, ব্লাড ব্যাঙ্ক কিংবা অ্যানেস্থেশিয়া বিভাগে কাজের জন্য যাঁদের ইতিমধ্যেই প্রশিক্ষণ হয়ে গিয়েছে, তাঁদের আর এই বিশেষ প্রশিক্ষণের প্রয়োজন হবে না। চাকরির মেয়াদ ফুরোতে যাঁদের মাত্র দু’তিন বছর বাকি রয়েছে, তাঁদেরও আর প্রশিক্ষণ নিতে হবে না।

health department doctor training death patient malda siliguri blood bank
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy